নির্বাচনী ডামাডোলে রাজধানীর পাইকারি বাজারে মন্দা

পাইকারি বাজারে চাল, আদা-রসুন ও পেঁয়াজ’সহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকলেও কমে গেছে বেচাবিক্রি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকাররা বলছেন, বিক্রি কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ, আদা-রসুন পচে যাচ্ছে। পুঁজি আটকে গেছে চালের আড়তদারদের। নির্বাচনের কারণেই পাইকারি বাজারে এমন মন্দাভাব বিরাজ করছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর অন্যান্য পাড়া মহল্লার মতো মোহাম্মদপুরের পাইকারি বাজার কৃষি মার্কেটেও লেগেছে নির্বাচনী ছোঁয়া। তাই অন্যান্য সময় এই বাজারে কর্মব্যস্ততা থাকলেও এখন অনেকটাই ফাঁকা।

পাইকাররা বলছেন, নতুন আর পুরনো চালে ভরপুর প্রতিটি গুদাম। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরেই, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকায়; আটাশ ৩৬-৩৮; পাইজাম ৩৪-৩৬ টাকা আর গুটিস্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে। তারপরও ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রচুর পরিমাণে মাল আছে। মাল বিক্রিও হচ্ছে না। ঘর খালিও হচ্ছে না।

নিত্যপণ্যের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২১ টাকা; ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫-১৬ টাকা; আদা ৭০-৭২ টাকা; আর রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্বাচন সামনে। স্কুল ছুটি বাচ্চাদের মা-বাবারা দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। কেনাবেচা নাই, তাই বাজারও কম। গেল সপ্তাহে যেটা বিক্রি করছি দেশি পেঁয়াজ ২২ টাকায় সেটা ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে, মসুর, মুগ ও খেসারিসহ বেশিরভাগ ডালের দাম। তবে কমেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। ব্যবসায়ীরা বলেন, মসুরের দাম বাড়েনি আগের মতোই আছে। সয়াবিন ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি করছি। গত সপ্তাহ থেকে প্রতি বোতলে ৫ টাকা কম।

মসলার বাজারে প্রতিকেজি জিরা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে, ৩৫০-৪০০টাকায়। এলাচ ১৬০০-১৮০০ টাকা; আর কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।