‘নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের সূচনা বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে’

নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: সরকার নয়, বিএনপির হাত ধরেই নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের সূচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি তফসিল ঘোষণার পর নয়া পল্টনের উদাহরণ তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন: পরাজয় নিশ্চিত জেনে অভিযোগ করে বিএনপি নির্বাচন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন বানচালের প্রয়াস চালাচ্ছে।

শুক্রবার ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট ১৫টি উপ-কমিটির মতবিনিময় শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন: তফসিল ঘোষণার পর নয়াপল্টনে সাঁড়াশি অভিযানের মহড়া চালিয়েছে বিএনপি। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের সিনিয়র লিডারের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সে হামলায় যারা জড়িত তারা কী নিরপরাধ? রাজনৈতিক কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে পল্টনের ঘটনায়, তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলে কোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা কেন ভাবছেন? তাহলে কি তাদের দলে বেশিরভাগ নেতাকর্মীই সন্ত্রাসী? ক্রিমিনাল অফেন্ডারকে গ্রেপ্তার করতেই হবে। ‘নো অফেন্স শুড গো অন পানিস্ড’ আমরা কী বিচারহীনতার সংম্কৃতি গড়ে তুলবো?

বিএনপি যখন যা খুশি তা বলছে। আসলে কী তারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে, নির্বাচন বানচালের বিভিন্নমুখী অজুহাত খুঁজছে? আমি এটাকে তারই অংশ বলে মনে করছি, যোগ করেন কাদের।

এর আগে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যলয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও বিরোধীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নতুন করে সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিএনপিকে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: নির্বাচন কমিশনের আইন, কোড অফ কন্ডাক্ট স্পেসিফিক্যালি কোথায় ভঙ্গ করা হয়েছে তাদেরকে এগুলো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বলতে হবে। আমি বিএনপিকে বলব তারা তথ্য প্রমাণসহ বলুক।

বিএনপি প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কাদের বলেন: এত বড় একটা নির্বাচন, ২৮ তারিখ শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন অনেকেই। কোথাও কী একটা ইনসিডেন্স ঘটেছে? আমাদের এখানে সুন্দর একটি নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে। যার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছে না। শুধু বিএনপিই নির্বাচনী পরিবেশ দেখছে না।