নির্বাচনে যারা পরাজয়ের আশঙ্কা করে, তারাই সেনাবাহিনী চায়

নির্বাচনে যারা পরাজয়ের আশঙ্কায় থাকেন, তারাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ কখনো সেনা মোতায়েনের দাবি জানায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে নৌপুলিশের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় ইউএনওডিসির বাংলাদেশ নৌপুলিশকে চারটি পেট্রোল বোট ও জেটি হস্তান্তর উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হবে এবং সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। পরিবেশ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারে।

এর আগে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবার ভয়াবহতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্তদের হুঁশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

জঙ্গিদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি ও একেবারে নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছি।’

সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে নৌপুলিশের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, ‘আমরা কারো মুখ দেখে, পরিচয় দেখে অপরাধী বিবেচনা করব না। আমরা অপরাধ থেকেই অপরাধী বিবেচনা করব। অপরাধকারী যেই হোক না কেন তার স্থান বাংলাদেশে নেই।’

‘যারা মাদক ব্যবসা করেন এবং মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট তারা নিজ নিজ ধর্মের রীতি অনুযায়ী তওবা করে ফিরে আসুন, নয়তো আপনাদের জন্য সামনে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে,’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, বলেন, ‘আমরা জানি সাংবিধানিকভাবে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকবে। ধরে নেওয়ার জন্য ধরে নিলাম, আমরা শেষ। আর যখন সরকারের লেবাস আমাদের গায়ে থাকে না তখন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানে, স্বাধীনতার পক্ষের কর্মীরা জানে যে রাজপথ কিভাবে কাপাতে হয়। আমরা রাজপথ কাপানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ডা. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, নৌ পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসান, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান মিয়া, ইউএনওডিসির প্রোগ্রাম অফিসার সানাকা জয়াসাকারা প্রমুখ।