নির্বাচনে সেনা চায় বিকল্পধারা

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েন চায় বিকল্পধারা বাংলাদেশ। পাশাপাশি সীমানা পুনঃনির্ধারণ করার বিপক্ষে মত দিয়েছে দলটি।আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া মতবিনিময় সভায় এসব দাবিসহ মোট ১৩টি লিখিত প্রস্তাব দিচ্ছে দলটি।

বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

দলটির সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রয়েছেন।

লিখিত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের ১ মাস আগে সেনা বাহিনীকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে হবে। সেনা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনের দিন ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করবে। ভোট শেষে ১৫ দিন পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে; প্রতিবছরই জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশন কর্তৃক কিছু কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন বিতর্ক এবং জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ মূহুর্ত থেকে আর কোনো সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন নেই; না ভোটের বিধান রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইউএনও, ওসি, প্রিজাইডিং অফিসার, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা, সেনা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে; প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ এর বেশি ভোটার সংখ্যা হবে না; প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা যেই জেলার ভোটার সেই জেলায় তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবে না ইত্যাদি।

এ পর্যন্ত ২৭টি দলের সঙ্গে মতবিনিয়ে বসলো নির্বাচন কমিশন।

বিকাল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে মতবিনিময় করবে কমিশন।

এছাড়া ১১ অক্টোবর বুধবার সকালে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বিকালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। এছাড়া আগামী ১২ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং বিকালে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে ইসি বৈঠক করবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সঙ্গে ১৫ অক্টোবর বৈঠক করবে ইসি। ১৬ অক্টোবর সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং বিকালে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল)এর সঙ্গে ইসি’র বৈঠকের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আগামী ১৮ অক্টোবর বৈঠক করবে ইসি। এবং আগামী ১৯ অক্টোবর সকালে জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং বিকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র সঙ্গে ইসি’র মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

এছাড়া ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থা; ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী ও ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।