নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি দল

ঢাকা থেকে বিদায় নেয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে এ বিষয়ে জানতে চান নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নতুন দায়িত্ব নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছান মিলার। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করে সোমবার সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রথমবার সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান তিনি।

কূটনিতিক সূত্র জানায়, নতুন রাষ্ট্রদূত বলেন, অচিরেই বার্নিকাটের গাড়িতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নেয়া হবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই ঘটনার তদন্ত করছে।

প্রসঙ্গত, বার্নিকাট তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার প্রসঙ্গে জানান এটি ছিল একটি ভিন্ন ধরনের আক্রমণ। এ বিষয়ে সরকার পূর্ণ তদন্ত করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে জানায় রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বলেও আশা করে তার দেশ।

জানা যায়, নতুন মার্কিন দূত রবার্ট মিলার পররাষ্ট্র সচিবকে জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরা আসবেন। পাশাপাশি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অন্তত আটটি দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অন্তত ২০টি পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ১২টি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

এ ছাড়া ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষে আরও আটটি দল যুক্ত হবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে এসব পর্যবেক্ষণ দলকে সহযোগিতার বিষয়টি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনায় তুলেছেন মিলার।

তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।