নির্বাচন ভবনে ৭ স্তরের নিরাপত্তা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেয়া ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার হুমকি দেয়ায় সেখানে সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে সেনা সদস্যদেরও।

গত কয়েকদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে এমন হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ইসি জনসংযোগ পরিচালক এসএস আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, এবার প্রথমবারের মতো সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা ছক থেকে দেখা গেছে, র‌্যাবের তিনটি টিম নির্বাচন ভবনে নিয়োজিত হয়েছে। নিয়োজিত আছে দুটি পেট্রোল ইউনিট। এছাড়া আগারগাঁওয়ে রয়েছে রিজার্ভ ফোর্স।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার ও জাতীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা তৎপরতা চলমান রেখেছে। আছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা।

অন্যদিকে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন সেনা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। নির্বাচন ভবনের আশপাশের ভবনেও রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান।

এছাড়া আগারগাওঁয়ের সদর কোস্টগার্ড রিজার্ভ রাখা আছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার ফাইটিং ও রেসকিউ টিমের সদস্যদের।

পশ্চিম আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গাড়ি প্রবেশের সব দিকের পথ বন্ধ রয়েছে। কেবল আইডিবি ভবনের পাশের রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করছে।

এর আগে নাম ও ঠিকানাবিহীন ওই এসএমএস বার্তায় বলা হয়েছে- ‘আল্লাহু আকবার। এই কুফরি নির্বাচন বন্ধ কর অথবা মুজাহিদদের হাতে ভয়ংকর পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাক। যে কোনো সময় নির্বাচন কমিশন উড়িয়ে দিতে আমরা রেডি।’

০১৮৮০৯০৮৭৩০ নম্বর থেকে এ হুমকি পাঠানো হয়েছে।

এরও আগে দশম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন চত্বর ও নির্বাচন কমিশনারদের বাসায় ককটেল হামলা হয়েছিল।