শুক্রবার (২৫ মে) সকালে রামু উপজেলায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকা থেকে ৪১ বছর বয়সী আক্তার কামালের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে গুলিতে নিহত মাদক ব্যবসায়ী আক্তার কামাল সম্পর্কে এমপি বদির বড় বোন শামসুন্নাহারের দেবর হন।

কিন্তু শুক্রবার (২৫ মে) বিকেলে এক সাক্ষাতকারে এমপি বদি বলেন, ‘সকালে রামুতে মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে নিহত আক্তার কামাল তার বেয়াই নয়।তার সঙ্গে কোনোপ্রকার সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘উনি আমার বেয়াই না। কিছু না জেনেই মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমার বড় বোনের নাম শামসুন্নাহার ঠিকই। কিন্তু তার দেবরের নাম আক্তার কামাল নয়, তার দেবরের নাম নুরু।

তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া ও টেকনাফে আমার নামে কারো কাছে কোনো অভিযোগ নেই। আমি সবসময়েই মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান পরিস্কার করে বলেছি। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়েও সে কথা বলেছি। এরপরে আর কোনো কথা থাকে না।

নিহত আক্তার কামাল টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে দুটিতে মানব পাচার এবং তিনটিতে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার (২৫ মে) সকালে পুলিশ এক হাজার পিস ইয়াবা, ১টি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি সহ আক্তার কামালের লাশ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা এসে লাশটি এমপি বদির বেয়াই আকতার কামালের বলে শনাক্ত করেন।