নুরুদ্দিনকে অ্যারেস্ট করলে সব বের হয়ে যাবে : নুসরাতের ভাই

নুরুদ্দিনকে অ্যারেস্ট করলে সব বের হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নিহত ফেনীতে অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভাই। এ ঘটনায় প্রিন্সিপাল ইন্ধন দিয়েছে।

তিনি বলেন, সে প্রিন্সিপাল হুজুরের পক্ষে তার মুক্তির জন্য মানববন্ধন করছে। ও আসলে জানে হুজুর কেমন। হুজুরের চাপে তার পক্ষে এসব করছে।

নিহত রাফির ভাই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, নুসরাতকে কুপ্রস্তাব নিয়ে ২৭ মার্চ মামলা হয়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬ এপ্রিল ওর ওপর এমন হামলা হয়েছে।

ঘটনা সর্ম্পকে তিনি বলেন, গত ৬ এপ্রিল আমাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয় নাই। আমাকে ঢুকতে দিলে এ ঘটনা ঘটত না। নুসরাত পরীক্ষা হলে গেলে একটা মেয়ে বলে নিশাতকে ছাদে মারতেছে। এ ঘটনা শুনে নুসরাত ছাদে যায়। তবে ছাদে কেউ ছিল না। ওই সময়ে চারটা বোরকাপরা ব্যক্তি ছিল। তাদের হাতে গ্লাপস ছিল, চোখে চশমা ছিল এবং মুখে মুখোশ ছিল। তাদের মধ্যে দুজন কথা বলছে আর দুজন কথা বলেনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত শিক্ষার্থী রাফির ভাই আরও বলেন, তারা বলছে বল হুজুরের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলেছিস সেসব মিথ্যা। তখন রাফি বলে, না এটা সত্য। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। ওদের মধ্যে একজন চম্পা না, কে ছিল। পরে তারা ওর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়েছিল। আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমার পরিচিত এক সহপাঠী ছিল, কাদের ভাই। তাকে বলছি নুসরাত ঠিকমতো বসছে কিনা? সে জানায় তার গায়ে আগুন লেগেছে। আমি মাদ্রাসার পাশে ছিলাম।

তিনি বলেন, যে পুলিশ মোস্তফা ভাই আমাকে ঢুকতে দেয় নাই। তারা আগুন নেভাচ্ছে। পরে তাকে বলি ভাই আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে দিতেন তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।

কাকে ধরলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে নিহত রাফির ভাই বলেন, প্রিন্সিপাল ইন্ধন দিয়েছে। নুরুদ্দিনকে অ্যারেস্ট করলে সব বের হয়ে যাবে। সে প্রিন্সিপাল হুজুরের পক্ষে তার মুক্তির জন্য মানববন্ধন করছে। ও আসলে জানে হুজুর কেমন। হুজুরের চাপে তার পক্ষে এসব করছে।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান ফেনীতে অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।

এর আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় কিন্তু তাতেও কোনো কাজ করছিল না।

নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।