নুসরাতের জানাজা পড়ালেন বাবা, অংশ নিলেন হাজারো মানুষ

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রাফির বাবা এ কে মুসা মেয়ের জানাজা পড়ান।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫৩ মিনিটে ফেনীর সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাফির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আগে থেকেই জানানো হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার বাদ আসর সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারী পাইলট হাইস্কুল মাঠে নুসরাত জাহান রাফির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে রাফিকে সমাহিত করা হবে বলেও জানানো হয়। তবে রাফির মরদেহ সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

জানাজার কিছুক্ষণ আগে রাফির মরদেহ সেখানে পৌঁছায়। লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার মরদেহ পৌঁছানোর আগে থেকেই সেখানে এলাকার মানুষজন জমায়েত হয়ে ছিলেন। রাফির মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

হাজার হাজার মানুষ রাফির জন্য হাহাকার করতে থাকেন। কান্নার রোল পড়ে যায় চারিদিকে। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ।

রাফির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। তার ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাফি।

বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের পাশাপাশি রাফির মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী ও আলিম পরীক্ষার্থী রাফি গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।