নুসরাতের বান্ধবী মনি ৫ দিনের রিমান্ডে

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি তার বান্ধবী কামরুন নাহার মণির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফউদ্দিন আহমেদের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মণি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী পাঁচজনের একজন, যিনি নুসরাতের বান্ধবী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তাকে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহর থেকে পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর আজ তাকে আদালতে নেয়া হয়।

ফেনী পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, কামরুন নাহার মণির ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নূরউদ্দিন গত রবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছিল, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উম্মে সুলতানা পপি গিয়ে নুসরাতকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় ছাদে মণি ছিল।

মণিসহ নুসরাত হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন, বাকিরা সন্দেহভাজন।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় বোরকা পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটিতে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তাররা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম।