নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ছিটানো গ্লাস উদ্ধার

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার সময় কেরোসিন ছেটাতে গ্লাস ব্যবহার করেছিলেন। সেই গ্লাসটি মামলার আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষ সিরাজের দফতরের সামনের ওয়াল কেবিনেট থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় মামলার আসামি একদিন রিমান্ডে থাকা শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহম্মদকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।

এ সময় পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক মো. মোনায়েম হোসেন, পরিদর্শক লুৎফুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, রিমান্ডে থাকা মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহম্মদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে তাদের তিনজনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় অভিযানে যায় পিবিআই। এ সময় মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষের দফতরের সমানের ওয়াল কেবিনেট থেকে গ্লাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শাহ আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় বোরকা পরিহিত থাকা শাহাদাত হোসেন শামীম ও জোবায়ের আহম্মদের দুটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।