নেপালে পূজা করা হয় কুকুরদের

নিজের পোষ্যকে ভালবাসে সবাই। বিশেষ করে বাড়িতে যারা কুকুর পোষেন।

কিন্তু ‌প্রতিবেশী দেশ নেপালে একটা দিন উৎসর্গ করা যায় কুকুরের পূজার জন্য। নেপালে যে উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘‌কুকুর তিহার’‌। এখানে দীপাবলি পাঁচদিন ধরে চলে। আর দ্বিতীয় দিনে হয় কুকুর তিহার উৎসব। এই উৎসবে কুকুরদের মুখেও দেখতে পাওয়া যায় খুশির ছাপ।
নেপালের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে এই উৎসব পালন করতে দেখা যায়। কুকুরকে মালা পরিয়ে, সিঁদুরের টিকা কপালে দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হয়। যাতে মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন তৈরি হয়। তবে শুধু পোষা কুকুরকে নয়।

পূজা করা হয় রাস্তার কুকুরকেও। সেদিন খেতে দেওয়া হয় দুধ, ডিম, মাংস, বিস্কুটসহ একাধিক দামি খাবার।

নেপালের স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হিন্দুশাস্ত্র মতে ভৈরব রূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন মহাদেব অর্থাৎ শিব। তখন তার বাহন ছিল কুকুর। এমনকী যমরাজের দ্বাররক্ষীও কুকুর। যার জন্য এই উৎসবকে ‘‌নরক চতুর্দশী’‌ও বলা হয়ে থাকে। নেপালের মানুষ বিশ্বাস করেন কুকুর বিপদের গন্ধ পায়। সেটা মৃত্যুরও হতে পারে। তাই পূজা করা হয় কুকুরদের, বিপদ থেকে রক্ষা করবে তারা। আর সেই কারণেই যেন কুকুর এখানে ‘‌হিজ মাস্টার্স ভয়েস’‌।