নোবিপ্রবিতে সাসটেইনেবল একোয়া-কালচার এন্ড ফিশারিজ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ আয়োজনে “সাসটেইনেবল একোয়া-কালচার এন্ড ফিশারিজ (Sustainable Aquaculture & Fisheries)” শিরোনামে একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৬ আগস্ট) রোববার দুপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ড. আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আয়োজন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান, বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও নীতি নির্ধারক ড. মাহমুদুল করিম। সিম্পোজিয়ামের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন। প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমুদ্র-সম্পদ গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন এবং সকলকে তার আদর্শে গড়ে উঠতে বলেন। তিনি আরো বলেন, এ দেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন অনেকেই কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাতে তা অর্জন হয়। আর এ স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে, তিনি সবাইকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে চলতে বলেন। বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, সমুদ্র গবেষণার জন্য নোবিপ্রবি সর্বশ্রেষ্ঠ। এখানে রয়েছে একই সাথে কালো ও লবণাক্ত পানি। যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রেষ্ঠ করে তুলেছে। অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল, কি-নোট পেপার প্রেজেন্টেশন, গবেষণামূলক পোস্টার পর্যবেক্ষন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বিভাগের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন। এতে অংশগ্রহণ করে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সকল শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও নীতি নির্ধারক ড. মাহমুদুল করিমকে তার মৎস্য শিক্ষা গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আজীবন সন্মাননা পদক প্রদান করা হয়।