নোবেলের নগ্ন ছবি ভাইরাল

জি বাংলার রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা অনুষ্ঠান থেকে আলোচনায় আসা কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বেশ কিছু নগ্ন ও আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কয়েকদিন থেকে ভেসে বেড়াচ্ছে। এক কিশোরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয় ছবিগুলো। পরে ভারতীয় কয়েকটি অনলাইনেও বেশ রসিয়ে নিউজ প্রকাশ করা হয় এটি নিয়ে।

কলকাতার গণমাধ্যমে নোবেলকে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম করা হয়েছে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস! ‘নোবেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কিশোরীর’। রহস্য জনক ব্যাপার হলো যে কিশোরীর ফেসবুক থেকে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে তার পরিচয় মেলেনি এখনো। কারণ ছবিগুলো পোস্ট করার পর সেই অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করা হয়।

এই অল্প সময়ের মধ্যেই নোবেলকে নিয়ে লেখা সেই কিশোরীর স্ট্যাটাস ও ছবি কপি পেস্ট হয়ে যায়। অনেকে সেটার স্ক্রিনশর্ট নিয়ে ছড়িয়ে দেয়। নোবেল ভক্তদের দাবি এই সুযোগ নিয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম নোবেলকে দুশ্চরিত্র প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

কলকাতার একটি অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এরকম কোনো খবরই প্রকাশ হয়নি। তবে একটি নামসর্বস্ব ওয়েবসাইটে অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট-এর লেখাগুলোকে ‘সংবাদ’ বানিয়ে আপলোড করা হয়।

শাহরীন সুলতান নামের সেই সেই ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাসটি এমন- ‘নোবেল, বাংলাদেশের লাখো মেয়ের ভালোবাসা। লাখো ছেলের আইডল। কিন্তু একমাত্র গোপালগঞ্জবাসীরাই চিনে ওর আসল রূপ। আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব ভোলাভালা চেহারার পিছে লুকিয়ে থাকা এক হিংস্র জানোয়ারের সাথে যাকে আপনারা সবাই নোবেলম্যান নামে চিনেন।

আমার মতো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ইজ্জত নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার উপর যদি নোবেল থাকতো, তাহলে তা এই সারাগামাপা খ্যাত মাদকাসক্ত নোবেল-ই পেতো। মাদক আর নারীর নেশায় আসক্ত নোবেলকে আজ যখন কোটি মানুষ আইডল মানে, তা দেখে আসলেই দেশের ফিউচার জেনারেশান নিয়ে খুব ভয় হয়।

মাদকাসক্ততার কারনে দুইবার রিহ্যাবে গিয়ে মাদকের নেশা থেকে কয়েকদিন দূরে ছিল। কিন্তু নারীর নেশার জন্যতো রিহ্যাব নেই। আর এটি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার মতো শত শত মেয়ের জন্য।

নোবেলের সাথে আমার পরিচয় হয় গতবছরে, যখন আমার বয়স মাত্র ১৫। প্রেম ভালোবাসা এগুলো তত বুঝতাম না। নোবেল আমাকে বুঝতে শিখায় ভালোবাসা কি। বয়স কম থাকার কারণে ওর প্রতিটা ফাঁদে খুব সহজেই পরে যাই। এই ফাঁদে শুধু আমি পড়িনি। আমার মতো আরো অনেক মেয়েই পড়েছে। মেয়েগুলো বেশিরভাগি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল।

কিন্তু নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস সব মেয়েগুলোর দিন দিন নোবেলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ কমতে থাকে। আজ আমি কিছুটা সাহস নিয়ে আসলাম। আমি ডিপ্রেশানে চলে গিয়েছি। মাঝে মাঝে নিজের জীবনটা দিয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু আত্মহত্যা মহাপাপ বলে তা পারি না। যদিও আমার আত্মাটা নোবেল আরো আগেই মেরে ফেলেছে।

আপনারা সবাই ভাবছেন নোবেল এগুলো কেমনে করে? আমি যদি বলি ওর এই সকল কুকর্ম ওর বাবা মা ও জানে তাহলে বিশ্বাস করবেন? প্রত্যেকটা মেয়েকে ও ওর বাসায় নিয়ে যায় ফিজিক্যালি ইনভল্ব হওয়ার জন্য। ওর বাবা মার সাথেও পরিচয় করায় বন্ধু হিসেবে।

অন্যদিকে মেয়েটাকে আশ্বাস দেয় যে বাবা মার সাথে তো পরিচয় হয়েছেই। বিয়েও করবে মেয়েটাকে। এখনতো সব করা যায়। আমিও এই ফাঁদে পা দিয়েছি। ওর পিপাসা মিটলে ওর ওই বাবা মার সামনেই মেয়েটাকে অপমান করে বের করে দেয়। আর ওর বাবা মা কিছুই বলেনা। তাই ওর এমন হওয়ার পিছে ওর পরিবারও দায়ী!

নোবেলের নিজের একটা বোন আছে। কীভাবে সে অন্যের বোনের জীবন এভাবে ধ্বংস করে আমার জানা নেই। অনেকেই বলবেন ওর নামে কেস করতে। ওর নামে কেস করেও লাভ নেই। পুলিশ ওর বাবার পকেটে থাকে।
.
সবশেষে বলবো যে আমি জানি এই সমাজ আমাকেই খারাপ বলবে। আমি-ই গালি খাবো নোবেলের ফ্যানদের থেকে। কারণ আমাদের সমাজে সব দোষ মেয়েদেরই হয়। এই পোস্ট দিয়ে নোবেলের কিছুই হবেনা এটাও আমি জানি। কিন্তু যাই হোক না হোক, আমার ভিতরের মৃত আত্মাটার কিছুটা শান্তি হবে এই জানোয়ারটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে। ওর আসল চেহারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দেখা উচিৎ। ওর মত ছেলে লাখো ছেলের আইডল হোক, এটি মেনে নেওয়া যায়না। শত মেয়ের জীবন নষ্টের কারণ কোন মেয়ের ক্রাশ হতে পারে না।
.
ওর ব্যাপারে সর্বশেষ জানলাম যে ঈদের আগের দিনও মাতাল হয়ে গোপালগঞ্জের একজনের উপরে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। তার মানে রিহ্যাবে গিয়েও লাভ হয়নি। ও এখনো মাদক সেবন করে। আর নারীর নেশা কাটানোর জন্যতো রিহ্যাব ও নেই। এই নেশা ওর কাটবেনা!
.
আপনাদের বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ছবি দিলাম। ছবিগুলো কিছু ও তুলেছে কিছু আমি আমার আর ওর ছবি, ওর বাসার রুমের ছবি (বিশ্বাস না হলে ওর বাসায় গিয়ে দেখে আসেন), কিউট হয়ে ঘুমিয়ে থাকার ছবিটিও দিলাম।’

এই স্টাটাসকি সত্য! নোবেলের একভক্ত তার পর্যবেক্ষণ থেকে বলছেন,‘ভাইরাল হওয়া ছবিগুলায় কিছু ছবি আছে যে নোবেল শুয়ে আছে। আর ওই ছবিগুলায় বুঝা যাচ্ছে যে নোবেলের মোটা সোটা একটা লুক! খেয়াল করলে দেখা যায় যে গত কিছুদিন যাবত বিভিন্ন ফ্যানপেজ বা গ্রুপে নোবেলের মোটা-সোটা লুকের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল। যেই মেয়েটা নোবেলের এগেইন্সটে এলিগেশন এনেছে তার ভাষ্যমতে নোবেলের সাথে ওর রিলেশন ছিল গতবছর।

কিন্তু গতবছরের নোবেলের ছবি ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় যে নোবেল স্লিম ছিল! তাহলে নোবেলের আজকের ভাইরাল হওয়া ছবি গুলায় মোটা লুক আসলো কীভাবে? নোবেল কি তাহলে প্রতি বছর নিয়ম করে মোটা হয়?’

নোবেলে এক ভক্ত বলছেন, ‘যে আইডির অস্তিত্ব নেই তার বক্তব্য কতখানি সত্য হতে পারে? পোস্ট এর সঙ্গে যে ছবি গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো দেখে অনেকে বলছেন স্রেফ ফটোশপ করে ছবি বিকৃতি ঘটিয়ে ছবির সঙ্গে ছবি বসিয়ে বানোয়াট একটা গল্প বানানো হয়েছে।’

এই এ বিষয়ে নোবেলে মন্তব্য নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সূত্র: জাগোনিউজ