নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ইমরান!

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর নামের ওই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয় বোর্ড নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে কয়েকজনের তালিকা করে। এর মধ্যে ইমরান খানের নামও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদকীয় বোর্ডের মতে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যে কাজটি করেছেন, তা কলহপূর্ণ বর্তমান বিশ্বের শান্তিপ্রিয় নেতৃত্বের একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।

দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর লিখেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার নিদর্শন হিসেবে ইমরান নিজের সীমানায় বিমান ভূপাতিত করে আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করায় প্রায় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়া পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। দেশটির প্রথাগত রাজনৈতিক আচরণের সঙ্গে তার এমন সিদ্ধান্ত খুবই আশ্চর্যের।

অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হোক এমন দাবি ওঠে। তাতে নতুন সংযোজন হলো দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিপিআরএফ) অন্তত ৪৪ জওয়ান নিহত হন। এই ঘটনার ১২ দিন পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালায়। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাইলট অভিনন্দনকে আটক করে পাকিস্তানে সেনাবাহিনী।

বিমান হামলা ও পাল্টা হামলার মুখে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যখন একটা অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের দিকে এক পা বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিক তখনই ইমরান খান দেশটির সংসদে ঘোষণা দেন শান্তি প্রতিষ্ঠার নিদর্শন হিসেবে আটক পাইলটকে মুক্তি দেওয়া হবে।

অভিনন্দন আটক হওয়ার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছিলেন এবার বুঝি পরিস্থিতি আরো শোচনীয় হয়ে উঠবে চির বৈরী সম্পর্কের দেশ দুটির মধ্যে। কিন্তু ইমরানের মুখ থেকে বের হওয়া একটি শব্দই ‘মুক্তি’ পরিস্থিতি পাল্টে দিল।

শুধু ঘোষণায় নয়, পরদিন আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে হস্তান্তরও করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। পাইলট মুক্ত হলে দুই দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি উঠতে থাকে।