নোয়াখালীতে গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা, আহত ২

ভোটের প্রচারের দ্বিতীয় দিন প্রাণ ঝরল নোয়াখালী-৪ (সদর) আসনে। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই জন। আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এ জন্য দায়ী করেছে বিএনপিকে।

মঙ্গলবার বিকালে এওজবালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত নূর ইসলাম ও মো. লিটনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নুরু পাটোয়ারী হাটে বিএনপি বৈঠক শেষে মিছিল বের হয়। এ সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ ও আরেকজন। তখন মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটায় এবং পরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে শটগান থেকে গুলি করে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিজ জানান, হানিফের শরীরের বিভিন্ন স্থালে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল।

এই হত্যার প্রতিবাদে সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি এই হামলা চালিয়েছে।’

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। আমরা তাদের বিচার দাবি করছি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে তাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।