নোয়াখালীতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট বাজারে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকেলে খলিফার বাজারের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন অফিসটিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের অন্তঃকোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

দাদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহির মেম্বার অভিযোগ করে জানান, সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কেন্দ্র বিন্দু হলো ঐতিহ্যবাহী খলিফারহাট বাজার। তাই এখানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কোনো অফিস না থাকলেও আমরা স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিজদের উদ্যোগের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানাতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ নামে একটি প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান শিপন নিজের একক প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারে শুরু থেকেই এ অফিসের বিরোধিতা করে আসছিলো। এর জেরে শিপন ও তার লোকজন কয়েক মাসে একবার অফিসটি ব্যাপক ভাংচুর করে।

সর্বশেষ বিকেলে শিপন, রাসেল ও জহিরের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি গ্রুপ পুনরায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের অফিসে ভাংচুর চালায়। এতে অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আতংকে লোকজন অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। দল ও প্রশাসনের কাছে আমরা এর যথাযথ বিচার দাবি করছি। তবে আওয়ামীলীগ নেতা শিপন অভিযোগ অস্বীকার বলেন, স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন। এটা একটা সাজানো নাটক। তারা নিজেরা অফিসটি ভাংচুর করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আবদুল মালেক উকিলের নিকট আত্মীয়। এজন্য একটি চক্র আমাকে জেলা নেতাদের কাছে হেয় করতে এমন অপবাদ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি নিজেও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত অফিস ভাংচুরের নিন্দা জানাই।

দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ অফিস ভাংচুরের বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের অবহিত করা হবে। সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।