নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, রাজপথে দলীয় কর্মসূচি পালনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধা এবং বেদে পল্লিতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা এগারটার সময় জেলা আইনজীবী সমিতির গ্রন্থাগার মিলনায়তনে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের আহŸায়ক রবিউল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান, এওজবালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবদিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে বিএনপি নেতা আবদুর রহমান উল্লেখ করেন, নোয়াখালীতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সহবস্থান ছিল। যে দলই ক্ষমতায় থাকতো বিরোধীপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা কিংবা হামলার ঘটনা ঘটত না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসক্লাব এবং জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনেও দলীয় কর্মসূচি পালনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাধা আসছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাজানো মামলা জড়ানো শুরু হয়েছে। বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন রাজপথে কর্মসূচি পালনে বাধা অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রতি রাতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের বাড়িতে একাধিকবার হানা দিয়েছে পুলিশ। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে যে সব রাজনৈতিক মামলা রয়েছে, সেগুলোতে তিনি জামিনে আছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জামিনে থাকার পরও এখন রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১০ সেপ্টেম্বর বেদে পল্লিতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কারা সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের দেওয়া বক্তব্যে পরিষ্কার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ২৮ জন আসামির মধ্যে ২১ জনই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আগামি নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা আবদুর রহমান।