নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন না শাবানা দম্পতি!

দেড় বছর আগে যশোরের কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে এক অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি হুকুম করলেই আমি ভোট করবো।’

এমন ঘোষণার পর তৃণমূলের রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নৌকার মনোনয়ন লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ওয়াহিদ সাদিকের মাঠে আর্বিভূত হওয়ার ঘোষণায় তৃণমূলের রাজনীতিতে নাড়া দেন। চলছিল নানা জল্পনা কল্পনা।

এরই মধ্যে শুরু হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির আবেদন ফরম বিক্রি। তিন দিনেও শাবানা ও তার স্বামীর পক্ষে আবেদন ফরম কেনা হয়নি।

তাহলে কি শাবানা দম্পতি এবার নির্বাচন করবেন না? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার মাঝে।

সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পরিবার ও স্বজনদের তথ্যে জানা গেল, ভোটে আসছেন না শাবানা ও তার স্বামী।

ওয়াহিদ সাদিকের ভাইয়ের ছেলে সুমন সাদিক জানান, প্রথমত নাগরিকত্ব জটিলতা ও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় উনারা (শাবানা ও তার স্বামী) ভোট করবেন না।

কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বাচ্চু জানান, শাবনা ও তার স্বামী আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক। তারা ভোট করতে দেশে আসছেন এমন খবর জানা নেই। তবে তারা নির্বাচনের জন্য আসলে আমি জানতাম।

২০১৭ সালের ১৮ জুলাই কেশবপুরে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা শাবানা ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক। ওই সময় বড়েঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বাচ্চুর বাড়িতেই ছিলেন এই দম্পতি।

এই সময় এক অনুষ্ঠানে ওয়াহিদ সাদিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চলচ্চিত্র আজিজুরের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে তার সঙ্গে খুব হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাবানাকে নির্বাচন করতে বলেন। আমি করবো বলে জানালে তিনি বলেন, প্রস্তুতি নেন। প্রধানমন্ত্রী হুকুম করলেই আমি নির্বাচন করবো। বড়েঙ্গা ও কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। আমি মানুষের ভালবাসা নিয়ে সেবা করতে চাই।

এই ঘোষণার পরই স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচিত হয়ে উঠেন শাবানা-ওয়াহিদ সাদিক দম্পতি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

প্রায় দেড় বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন শাবানা-ওয়াহিদ সাদিক দম্পতি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র প্রাপ্তির আবেদনপত্র বিক্রি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। আদৌও কি ভোটে আসছেন এই দম্পতি। ধোঁয়াশা এখনও পরিষ্কার হয়নি।

স্বজনরা দাবি করছেন, ভোট করবেন না। কারণ তারা আমেরিকার স্থায়ী নাগরিত্ব ছাড়বেন না। তবে এ বিষয়ে শাবানা-ওয়াহিদ সাদিক দম্পতির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।