পকেটে গাঁজা দেয়ার চেষ্টায় জনরোষে পুলিশ

চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবকের পকেটে গাঁজা দেয়ার চেষ্টা এবং মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলায় জনরোষে পড়েছেন যশোর কোতয়ালি থানার এক উপ-পরিদর্শক।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মাহবুবুর রহমান। পরে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে যশোর শহরের সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে শহরের মাইকপট্টি এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে শৈশব অভিযোগ করে বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে বন্ধু সুব্রতকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে এমএসটিপি স্কুলের সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সামনে পৌঁছালে সাদা পোশাকের একজন পুলিশ তার মোটরসাইকেল থামান এবং পেছনে বসা সুব্রতর পকেট চেক করতে যান। সে সময় সুব্রত তার পকেট নিজে দেখান।

এসময় পকেট থেকে একটি চাবি নিচে পড়ে গেলে সুব্রত সেটি উঠাতে যান। এসময় একটি কাগজে মোড়নো গাঁজা সুব্রতর পকেটে দেয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য। সেটি দেখে ফেলায় ‘পকেটে কী দিচ্ছেন বলে প্রতিবাদ করেন সুব্রত।’

তখন ওই পুলিশ গালি দিলে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এ সময় শৈশব তার মোবাইল ফোন পকেট থেকে বের করে ফোন দিতে গেলে ওই পুলিশ সদস্য তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং রাস্তার ওপর ফেলে ভেঙ্গে দেন।

এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে এসআই মাহবুবকে ঘিরে ফেলেন এবং তাকে মারতে উদ্যত হয়।

খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে মাহবুবকে সরিয়ে নেন।

পরে পুলিশ মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন হাজার টাকা দেয়ার অঙ্গীকার করেন। একইসঙ্গে এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি শামসুদ্দোহা।

এ বিষয়ে শনিবার রাতে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ওই ঘটনার জন্য এসআই মাহবুবকে দোষি সাব্যস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।