পদ্মায় ঢলে পড়লো বিদ্যালয়টি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ঢলে পড়লো পদ্মায়। এরই মধ্যে চলে গেছে ভবনের চারটি পিলার। ভাঙনের গতি বাড়লে কয়েক দিনের মধ্যেই নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে বিদ্যালয়টি। বছর দুয়েক আগে পদ্মার চরাঞ্চল চকরাজাপুরে নির্মাণ করা হয় বিদ্যালয়টি। এতে ব্যয় হয় ৭৮ লাখ টাকা।

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা পায় চরাঞ্চলের একমাত্র চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে এক যুগে দুই বার ভাঙন কবলে পড়েছে বিদ্যালয়টি। প্রতি বারই ভেঙেচুরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে স্থাপনা।

গত ৫ দিন আগে বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পাকা ভবনটি সরানোর প্রস্তুতিও চলছিলো ধীরে। ভাঙন দেখে ব্যবস্থা নেয়ারও কথা ছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। দ্রুত ভবটি সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ভাঙনের কারণে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়টির পাঠদান। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভাঙন কবলিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসা. নাসিমা খাতুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা দিল আফরোজ রুমি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুর রহমান, চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আজম প্রমুখ।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিমা খাতুন বলেন, ভবনটির সরানো যায় এমন মালামালের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যত দ্রুত সম্ভব এ তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। নির্দেশনা পেলেই সরিয়ে নেয়া হবে বিদ্যালয়টি। পাঠদান চালু রাখতে বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

এদিকে, বর্ষায় প্রবাহ বাড়ায় ভাঙন বেড়েছে। এরই মধ্যে বাঘা উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী ৯ গ্রামের ১০ কিলোমিটার জুড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। সপ্তাহজুড়ে চলা এ ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়েছে বাগানসহ প্রায় দেড় হাজার বিঘা ফসলি জমি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উপজেলার প্রায় ৪ কিলোমিটার নদী তীর অরক্ষিত। গত ৭ বছরের ভাঙনে এই এলাকার ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৫শ বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার এবং বিজিবি ক্যাম্পসহ বহু স্থাপনা চলে গেছে পদ্মায়। বিলিন হয়েছে কয়েক হাজার বিঘা আবাদি-অনাবাদি জমি। সহায়-সম্বল হারিয়ে সর্বশান্ত বহু পরিবার।