পরকীয়ার রাস্তা পরিষ্কারে স্বামীকে ৮ টুকরো করলো স্ত্রী

পরকীয়া প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী। তাই স্বামীকে পথের মাঝখান থেকে সরিয়ে দিতে খুনের পরিকল্পনা আঁটে স্ত্রী। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে স্বামীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ঝাজ্জরে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বামী বালজিতের দেহ কুপিয়ে ৮ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখেছিল স্ত্রী পূজা। এই খুনের তদন্তে নেমে স্ত্রী পূজার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরো ৪ জনকে। তবে আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, নৃশংস এই খুনের ঘটনায় একমাত্র আসামী স্ত্রী-ই।

২০১৬-র অগাস্টে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। খুনের পর বালজিতের মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখে পূজা। ঘরের মধ্যেই গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয় বালজিতের মাথা। বাকি দেহাংশ স্যুটকেস-সহ লুকিয়ে রাখে বিভিন্ন জায়গায়।

খুনের কয়েকদিনের মধ্যেই বালজিতদের বাড়িতে যায় তার ভাই ও বোন। দাদার কোনো খোঁজ না পেয়ে সন্দেহ হয় তাদের। সেই সঙ্গে ঘরের মধ্যে পচা গন্ধ পেতে দানা বাঁধে জোরালো হয় সন্দেহ। এরপরই তল্লাশিতে সামনে আসে এই নৃশংস খুনের ঘটনা।