পরিচ্ছন্নতায় নতুন রেকর্ডের পথে বাংলাদেশ

প্রতীকী পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় শহর পরিষ্কারে নেমেছেন রাজধানীবাসী। ডিএসসিসি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ৮টা থেকে তারা আসতে থাকেন। গিনেস বুকে নতুন রেকর্ডের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সব কিছু ঠিক থাকলে গিনেস বুকে পরিচ্ছন্নতার তালিকায় নাম আসবে ডিএসসিসির এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বচ্ছ ঢাকা গড়তে নগরবাসীকে সচেতন করতে প্রতীকী এই কর্মসূচির আয়োজন। এর মাধ্যমে পুরো নগরী পরিচ্ছন্ন না হলেও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এই শহরের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা থাকবে।

ডিএসসিসি ও রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ নামে এ প্রচার অভিযান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মসূচিতে সহায়তা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

কর্মসূচিতে জাতীয় স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ফায়ার সার্ভিস, নৃত্যশিল্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে লোকজন অংশ নিয়েছেন। রেকর্ড গড়তে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। অবশ্য এ পর্যন্ত কর্মসূচিতে অর্ধ লাখের বেশি লোকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

ভারতের গুজরাটে ২০১৭ সালের ২৮ মে বদোধারা শহরের মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন পাঁচ হাজার ৫৮ জন কর্মী নিয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা পরিষ্কার করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম ওঠায়। শহরের একতা ডান্ডিয়া বাজার রোড পরিষ্কার করে এ রেকর্ড গড়া হয়। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করার পথে ডিএসসিসি।

ডিএসসিসি মনে করে, ভারতের ওই শহরে যে সংখ্যক মানুষ নিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে ডিএসসিসির। তাই শুধু নিজেদের কর্মীদের দিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি পরিচালনা করলেও ওই রেকর্ডটি ভাঙা সম্ভব।

এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করা গেলে গিনেস বুকে নাম লেখানোর পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাবে। এ জন্য চৈত্র সংক্রান্তির দিনে এ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি।