পরীক্ষা কেন বাতিল নয়, জিজ্ঞাসা হাইকোর্টের

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে কেন পরীক্ষা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।

একটি রিট আবেদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়টি জানতে চাওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁস তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

আইনুন্নাহার সিদ্দিকাসহ সুপ্রিম কোর্টের তিন জন আইনজীবীর রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছে।

এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার করা রিট আবেদনে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে পরীক্ষা বাতিল ছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগেই প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমনকি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেলে পরীক্ষা বাতিল হবে বলে জানিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন।

প্রশ্ন ফাঁসরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যতগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে তার কোনোটিই কার্কর প্রমাণ হয়নি। এখন অবধি যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে তার প্রতিটির এমসিকিউ এর প্রশ্ন আগেভাগেই এসেছে সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু কোনো পরীক্ষাই বাতিল হয়নি।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে। ওই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছিল সেদিন।

কিন্তু কমিটি এখনও প্রতিবেদন দেয়নি আর মো. আলমগীর ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে নন।

শিক্ষামন্ত্রী এখন আর পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। তবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেছেন, ‘পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। কারণ আমরা চিন্তা করে দেখেছি এতে খুব একটা লাভ হবে না।’