পর্তুগালের সৈকতে ডাইনোসরযুগের হাঙর

ডাইনোসররা সেই কবেই হারিয়ে গেছে পৃথিবী থেকে। আট কোটি বছরেরও বেশি আগে। রয়ে গেছে সেই রাক্ষুসে হাঙররা। পানিতে থাকার কারণেই হয়তো ডাইনোসরদের মতো এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।

আট কোটি বছরে গ্রহাণু, ধূমকেতুর ধাক্কা কত শত বার সহ্য করতে হয়েছে পৃথিবীকে, তার কোনো হিসেব নেই। ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, জলোচ্ছ্বাস, প্রলয়ে কত বার আলোড়িত হয়েছে পৃথিবী, তারও কোনো হিসেব জানা নেই।

অথচ মহাসাগরের তলায় থাকা সেই রাক্ষুসে হাঙরের কিছুই হয়নি তাতে। এতো কোটি বছর ধরে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে পাঁচ হাজার ফুট গভীরে তারা সাঁতরে বেড়িয়েছে।

ডাইনোসর যুগের সেই হাঙরের খোঁজ পেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর গবেষকরা। আটলান্টিক মহাসাগরের পর্তুগালের একটি সৈকতে তাদের দেখা মিলেছে।

অনেকটাই সাপের মতো এদের মাথা। দাঁতের সংখ্যা তিনশ। অস্ত্রোপচারের নিডলের মতো ধারালো তাদের দাঁত। ২৫টি সারিতে সাজানো রয়েছে দাঁতগুলো। ছয় ফুটেরও বেশি এরা লম্বা হতে পারে।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ‘ফ্রিলড শার্ক’দের বলে ‘কিয়ামাইডোসেলাকাস অ্যাঙ্গুইনাস’। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রজাতির হাঙররাই পৃথিবীর প্রাচীন ও বিরলতম।

জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় মহাসাগরের অনেক গভীরে এদের বাস। ঘুরতে ঘুরতে পর্তুগালে এসেছে এটি। তবে ডাইনোসর যুগের এই প্রাণীরা এতদিন কীভাবে টিকে রয়েছে তা এখনও জানতে পারেননি গবেষকরা।

সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট