পাঁচ দিনের রিমান্ডে কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার রাশেদ খানকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানায় করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পলিশের এসআই সবুজ উজ জামান। ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাসানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১৪ নম্বর বাসা থেকে রাশেদ খানকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

পরে তাকে ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়ের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘২৭ জুন রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে দেওয়া এক বক্তব্যে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এই কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোনও কোটা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন। এরপর গত ২ মে এবং সবশেষ গত ২৭ জুন সংসদে একই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা আসলেও আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।

এর মধ্যে রাশেদ খান সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরে আবার আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান। তিনি তার বক্তব্যে বেশ কিছু জায়গায় আপত্তিকর শব্দও ব্যবহার করেন। বলেন, ‘দেশ তোমার বাপের না যে যা খুশি তাই বলবে।’

এর মধ্যে রবিবার (০১জুলাই) রাশেদ তার ফেসবুক আইডি থেকে আবারও একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেন। এতে তিনি ভাসানটেক এলাকার একটি বাড়িতে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেন রাস্তায় নেমে আসে।

পরে রাশেদ ছাড়া কোটা আন্দোলনের আরও দুই নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠে গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। এরা হলেন- মাহফুজ খান ও সুমন কবীর। তারাও সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক।