পাঁচ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

দীর্ঘ পাঁচ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি রাজধানীর পলাশী থেকে গাবতলী পর্যন্ত নতুন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ট্রাফিক বিভাগের কোন পদক্ষেপই সফল না হওয়ায় যানজট আর দুর্ঘটনায় বছরের পর বছর জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ রুটটিতে। যার প্রভাব পড়ছে আশপাশের সড়কগুলোতেও। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, সংসদ ভবন ও গণভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগছে।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের পশ্চিম দিক থেকে শুরু করে আজিমপুর -নিউমার্কেট হয়ে গাবতলী পর্যন্ত সড়কেও অসংখ্য গাড়ির চাপে যানজট থাকে দিন রাতের বেশিরভাগ সময়। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই বাড়তে থাকা গাড়ির সংখ্যার পাশাপাশি অবৈধ বাসস্ট্যান্ডের কারণে যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই এ রাস্তায়।

পরিবহন বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিরপুর রোড হয়ে চলাচলকারী পরিবহনের এ জট দূর করতে ২০১৩ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। বেশ কয়েকবার যাচাই-বাছাই করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি প্রকল্পটি। অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ লাখ যাত্রীর যাতায়াত সক্ষমতা থাকবে উড়াল সড়কটিতে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘২০১৩ সালের পর ২০১৭তে এসে আনিসুল হক সাহেব এটাকে আবার উপস্থাপন করলেন। একটা সময় আসবে যখন আশি হাজার যানবাহন এই ফ্লাইওভার দিয়ে উঠানামা করবে। এগুলো যখন আজিমপুর এরিয়াতে এসে জড়ো হবে তখন তো পুরো এরিয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে। ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা যে বাসগুলো ব্যবহার করে সেগুলো দিয়েই যেতে পারে। ওই গুলো সিটি সার্ভিসে চলে আসবে।’

গণভবন ও সংসদ ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে সময় কিছুটা বেশি লাগছে বলে দাবি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।

ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আলাপ আলোচনা করে যেই সিদ্ধান্ত দিবে আমরা প্রস্তুত আছি। যখনই নির্দেশনা আসবে আমরা সাথে সাথে কাজ করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।’

কর্তৃপক্ষ জানান, সরকারি-বেসরকারি যৌথউদ্যোগে বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি। আগের প্রস্তাবনায় গাবতলী পর্যন্ত থাকলেও বর্তমানে আমিনবাজার পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।