পাঁচ লাখের কথা বলে শেষ পর্যন্ত তিন লাখে রফা দফা করলো ঈগল পরিবহণ

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : গত শনিবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসষ্ট্যান্ডের কাছে ঈগল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু ও গণবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জনি স্বপরিবারে গুরতর আহত হবার ঘটনায় ঈগল পরিবহণ মালিকপক্ষের পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন তারা।

রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে ঈগল পরিবহণ মালিকপক্ষের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের হাতে তিন লক্ষ টাকা তুলে দেন। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার দুর্ঘটনায় আহত জনির বাবা মোঃ আব্দুল আজিজের হাতে সম্পূর্ণ টাকা তুলে দেন। এসময় আশুলিয়া থানার ওসি, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এ আর জনি আহমেদ তার মা-বাবা, বোনসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্যের সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হবার পর থেকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত ঘাতক ঈগল পরিবহনের মালিকপক্ষ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জারত জনি ও তার পরিবারের কোন খোঁজখবর করেনি এই অভিযোগে এবং চিকিৎসা ব্যয় বহন করে জনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচানোর দাবিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশমাইল থেকে ঈগল পরিবহণের পাঁচটি বাস আটক করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এরপর বুধবার (৫ জুলাই) বিকাল ৫ টায় আশুলিয়া থানায় আশুলিয়া থানা পুলিশ, সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় ঈগল পরিবহণের মালিকপক্ষ। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ঈগল পরিবহণের আটককৃত পাঁচটি বাসের চারটি বাস ছেড়ে দিয়ে একটি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রাখে । কথা থাকে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত পেলেই শুধুমাত্র বাসটি ফেরত দেবে শিক্ষার্থীরা।

ক্ষতিপূরণ দেবার সিদ্ধান্তের প্রায় ১১ দিন পর রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ঈগল পরিবহণের দুই প্রতিনিধি দল। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে মাত্র তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করে আটককৃত বাসটি ফিরিয়ে নেন তারা।

আরো পড়ুন : দুর্ঘটনার শিকার জনির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে ‘ঈগল’