পাঁপড় বিক্রেতা হৃত্বিক রোশন!

হৃত্বিক রোশন, যার নাচে আরে অভিনয়ে পুরো বলিউডসহ বিশ্বে সবাই মাতোয়ারা। কোটি কোটি তরুণীর হৃদয়ের স্পন্দন। সেই হৃত্বিক কিনা এখন রাস্তায় পাঁপড় বিক্রি করছেন। মলিন শার্ট। কাঁধে গামছা। ক্লান্ত অথচ পরিশ্রমী মুখের যুবক রাস্তায় পাঁপড় বিক্রি করছেন। এমনি ভাবে রেল ষ্টেশনে হৃতিক রোশন’কে পাঁপড় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। ‘সুপার থার্টি’র শুটিংয়ে ঠিক এই মেকআপেই ছিলেন নায়ক। আগামী ১২ জুলাই মুক্তি পাবে। তার আগে শুটিংয়ের বিশেষ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি।

ছবির শুরু থেকেই বিতর্ক। কখনও প্রযোজনা সংস্থা ভেঙে যাচ্ছে, কখনও বা পরিচালক যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত হচ্ছেন। বারবার বদলেছে ‘সুপার থার্টি’র মুক্তির দিন।

গত দু’বছর হৃত্বিকের কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। নতুন নতুন হিরোদের ভিড়ে হৃত্বিক খানিকটা কোণঠাসাই বলা যায়। ‘সুপার থার্টি’ দিয়ে নিজের হারানো জায়গাটা উদ্ধার করতে চাইছেন অভিনেতা। সম্ভবত সে কারণেই প্রত্যেকটা বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে ছবিটা বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। ভেঙে যাওয়া ফ্যান্টম ফিল্মসের এটাই শেষ ছবি। বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধে #মিটুর অভিযোগ উঠতে, হৃত্বিক পরিচালকের নাম ছবি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। তদন্তে বিকাশের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণিত না হওয়ায় অবশ্য পরিচালক হিসেবে তাঁর নামই যাচ্ছে।

‘সুপার থার্টি’ এবং নিজের ক্যারিয়ার দুই বাঁচানোর তাগিদে কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে সংঘর্ষও এড়িয়েছেন হৃত্বিক। ঠিক ছিল জানুয়ারিতে ‘সুপার থার্টি’ রিলিজ করবে। কিন্তু কঙ্গনা ওই দিনই ‘মণিকর্ণিকা’র মুক্তি ঘোষণা করেন। সম্মুখ সমর এড়িয়ে হৃত্বিক ছবি পিছিয়ে দেন। ফের ক্ল্যাশ হয় কঙ্গনার ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’র সঙ্গে। এ বারও হৃত্বিক নিজের অবস্থান বদলান। নিজের প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কোনও উটকো বিষয়কে অভিনেতা প্রাধান্য দিতে চাইছেন না।

অভিনেতা হৃতিকের কাছেও এ ছবি একটা পরীক্ষা। বিহারের গণিতজ্ঞ আনন্দ কুমারের জীবন আধারে তৈরি ‘সুপার থার্টি’। সমাজের নিচুতলার ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য প্রস্তুত করেন আনন্দ। গ্ল্যামারাস অবতার ছেড়ে আনন্দের চেহারার ছাঁচে নিজেকে ঢেলেছেন হৃতিক। গলার স্বর বদলেছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হল তা ছবি মুক্তিতেই বোঝা যাবে।সে অপেক্ষায় এখন বলিউডবাসী।