পাইলটের মুক্তির দিনে ভারতে চার সেনাসহ নিহত ৬

পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটের মুক্তির দিন আবারো হামলা হয়েছে। এ হামলায় ভারতের চার সেনা সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ছয়জন।

নিহতদের মধ্যে আরো আছে কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল, আর একজন সাধারণ নাগরিক। শুক্রবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দোয়ারায় এই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়, হান্দওয়ারাতে বিকাল থেকে শুরু হয় সেনা ও জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই। এ সময় সেখানে নিহত হন ভারতের চার সেনা সদস্য, আর একজন স্থানীয় বাসিন্দা।

ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) সূত্রে জানা যায়, কুপওয়ারা একটি বাড়িতে দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। এতে অভিযানে নামে সিআরপিএফের সদস্য ও সেনাবাহিনীর ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ বাহিনী। তারা ওই বাড়ির কাছে পৌঁছলে, তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গুলি চলাকালীন দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।

এসময় মরদেহ উদ্ধারে এগিয়ে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। মাটিতে পড়ে থাকা দুই জঙ্গির মধ্যে একজন আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে মারা যায় ওই চার সেনা। এসময় যৌথ বাহিনীর গুলিতে ওই জঙ্গিরও মৃত্যু হয়।

এর আগে সকালে কুপওয়ারার বাবাগুন্দ গ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে এক পুলিশ নিহত হয়। পাশাপাশি গুরুতর আহত হন ৫ সেনা সদস্য। বর্তমানে কুপওয়ারাতে চলছে চিরুনি তল্লাশি।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের হামলায় ৪৪ জন ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভারত-পাকিস্তান। দেখা দেয় যুদ্ধের আশঙ্কা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আকাশে লড়াই করে ভারতের দুটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এর একটি পড়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে, অন্যটি পড়ে ভারতীয় অংশে। যে বিমানটি পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে ভূপাতিত হয় সেটার পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে আটক করে স্থানীয় তরুণরা। পরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। তিন দিন পাকিস্তানে রাখার পর বিকালে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।