পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করল ভারত

ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে পাক রেঞ্জার্সের সদস্যদের বর্বরতম আচরণের পর আলোচনার টেবিলে বসার কোনো অর্থই হয় না। সমস্ত জল্পনা ভেঙে শুক্রবারই একথা জানিয়েছে ভারত। কিন্তু নয়াদিল্লির এই ঘোষণাকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছে ইসলামাবাদ।

পাক সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আরও একবার আলোচনার সুযোগ নষ্ট করল ভারত। দু’দেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল এর ফলে তা স্তব্ধ হয়ে গেছে বলে ঘোষণা করল ইমরানের প্রশাসন। পাশাপাশি, কাশ্মিরের বিএসএফ জওয়ানকে গলা কেটে খুনের পেছনে পাক রেঞ্জার্সদের হাত নেই বলেও দায় ঝেড়ে ফেলা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।

তলানিতে থাকা পাক-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত বুধবারই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি।

পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে তৈরি হওয়া তিক্ততা মিটিয়ে নিতে চায় বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইমরান। কিন্তু ইমরান চাইলেও পাক সেনারা যে সে কাজে রাজি নয় তা প্রমাণিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র কুমার। তখনই গুলি করে পাক সেনারা। ছয় ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পর বিএসএফের হেড কনস্টেবলের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। তার দেহ মিলেছে তিনটি গুলির চিহ্ন। রামগড় সেক্টরের অমানবিক এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে পাক রেঞ্জার্সদের যোগসাজশ। তাদের মোক্ষম জবাব দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন নরেন্দ্র কুমারের পরিজনরা।

এমনকী, শুক্রবার সকালে কাশ্মিরের সোপিয়ানে তিন পুলিশকর্মীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের দিকে অভিযোগ এনেছে ভারত। তাদের প্রত্যেকের দেহে মিলেছে একাধিক গুলির চিহ্ন। এই ঘটনার ঠিক দু’দিন আগে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিরা একটি হুমকি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওর মাধ্যমে পুলিশকর্মীদের পদত্যাগ করার ইঙ্গিত দেয় জঙ্গিরা। তারপরই পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর বর্বরতায় আরও জটিল হয়েছে ভারত ও পাক সম্পর্ক।