পাকিস্তানে কেন সৌদি যুবরাজ-তালেবানের বৈঠক?

সৌদি আরবের বিতর্কিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) ঐতিহাসিক পাকিস্তান সফরের একদিন আগে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান নেতাদের সাথে বৈঠক হতে পারে – এমন খবরে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রাজনীতির ভিন্ন হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে।

এমবিএস’র পাকিস্তান সফরের ডামাডোলের মধ্যেই শনিবার তালেবানদের ওই বৈঠকের বিস্ফোরক এ খবর দেয় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা জানাচ্ছে,পাকিস্তান সফরের সময় আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুবরাজ।

সালমানের দুই দিনের পাকিস্তান সফরের সময় সৌদি আরবের কাছ থেকে ইসলামাবাদ অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজ পাবে বলে জানায় খালিজ টাইমস।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি বিনিয়োগ পাকিস্তানের খুঁড়িয়ে চলতে থাকা অর্থনীতির জন্য নতুন জীবন এনে দেবে।

কারণ, সম্প্রতি এসঅ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং এজেন্সি পাকিস্তানকে বি থেকে মাইনাস বি’তে নামিয়ে এনেছিল। তারা বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো ও চীনাদের সময়োচিত সহযোগিতা বিদেশী বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে সহায়তা করেছে।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একদিন পেছানো সফরসূচিতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সৌদি যুবরাজ।

নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘পাকিস্তান সফরের সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে যুবরাজে। তবে বিষয়টি এখনো সর্বোচ্চ গোপনীয়।

তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুবরাজের সঙ্গে এই বৈঠকের কোনো এজেন্ডা তৈরি হয়নি। তবে তালেবান প্রতিনিধিরা পাকিস্তানের রাজধানীতেই আছেন।

তালেবানের প্রতিনিধি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে যুবরাজকে এই পরিকল্পনায় দেখা হচ্ছে না, তবে আমরা যেহেতু ইসলামাবাদে আছি তাই আলোচনা করতে পারি’।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানে কেন সৌদি যুবরাজ-তালেবান বৈঠক হচ্ছে?

আফগানিস্তানের সাথে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্টতা কয়েক দশকের পুরনো। আশির দশকে সোভিয়েত আগ্রাসনের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সাথে মিলে কাজ করেছিল সৌদি আরব।

সোভিয়েতরা চলে যাওয়ার পর দেশ যখন গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে, রিয়াদ তখন জঙ্গিদের প্রতি দেয়া সমর্থন প্রত্যাহার করে তালেবানকে সমর্থন দেয়। পাকিস্তান ও আরব আমিরাতের বাইরে সৌদি আরব তৃতীয় দেশ যারা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

কিন্তু ৯/১১ এর ঘটনার পর, রিয়াদ তালেবানদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্বাধীন নতুন আফগান প্রশাসনকে সমর্থন দেয়। তবে, ধনকুবের সৌদিদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অর্থ সহায়তা পেয়ে এসেছে তালেবানরা।

২০০০ সালের দিকে আফগানিস্তান আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে ইরানের ভূমিকা এখানে বাড়তে থাকে। রিয়াদও তাই তাদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে থাকে। ২০০৮-২০০৯ সালে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ ও হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে আফগানিস্তানে। তেহরানের প্রভাবকে টেক্কা দিতেই এইসব করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ঘানির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে রিয়াদের। সরকার গঠনের পর প্রথম দেশ হিসেবে সৌদি আরব সফর করেছিলেন ঘানি এবং নতুন সৌদি-নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাস-বিরোধী জোটেও যোগ দিয়েছেন তিনি, যে জোটে কাতার ও ইরান নেই।

আফগানিস্তানে রিয়াদের অধিকাংশ স্বার্থই ইরানের সাথে জড়িত। ভূমধ্যসাগরে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারও একটি বিষয়।

২০১১ সালে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং কাতার তালেবানদের রাজনৈতিক অফিসের জায়গা দেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। সৌদি ও আমিরাত শর্ত দিয়েছিল যে, আল কায়েদাকে প্রত্যাখ্যান এবং আফগান সংবিধানকে মেনে নিলে তারা অফিসের জায়গা দেবে। কাতার এ ধরনের কোনো দাবি জানায়নি এবং ২০১৩ সালে দোহাতে এই অফিসের যাত্রা শুরু হয়।

এর পর থেকেই সৌদি আরবের সাথে কাতারের শত্রুতা বেড়েছে। ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের মধ্য দিয়ে এর ইতি ঘটেছে। কাতারকে আরও একঘরে করার প্রচেষ্টা হিসেবে এবং আফগানিস্তানে কাতারের প্রভাব কমানোর জন্য রিয়াদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দোহার তালেবান অফিস বন্ধ করে দিতে বলেছে।

চলতি আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে সৌদি আরব ইরান ও কাতারকে দমনেরও চেষ্টা করছে। যে শান্তি প্রক্রিয়ার মূলে রয়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-পাকিস্তান মিলে আফগানিস্তানের ১৭ বছরের যুদ্ধ অবসানের চেষ্টা করছে।

গত মাসেই সৌদি সফর করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার আগে কাতারও সফর করেন তিনি। সেখানে দোহার সঙ্গে একটি বড় মাপের গ্যাস চুক্তি সাক্ষর করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাস চুক্তির আড়ালে কাতারের সঙ্গে তালেবান-সৌদি বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন ইমরান। যেহেতু, কাতার-সৌদি আরব ও তালেবান-সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক পাকিস্তানের।

সৌদি-কাতার সফরের আগে আবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন ইমরান খান।
এর পেছনে আরও একটি কারণের কথা বলা হচ্ছে। পশ্চিম থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে পূর্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। যার মূল কেন্দ্রে পাকিস্তান ও চীন।

সৌদি এই চিন্তা শুরু করেছে সাম্প্রতিক সময়ে। বিশেষ করে গত অক্টোবরে তাদের তুরস্ক দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর। ওই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করা হয়। তারপর থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন সৌদি যুবরাজ। তার সঙ্গে আছে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইয়েমেন যুদ্ধের চাপ।

তাছাড়া গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি মন্তব্যও সূচ হয়ে বিঁধছে সৌদিকে। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন ‘সৌদি সাম্রাজ্য আর সৌদি বাদশা মার্কিন সাহায্য ছাড়া দুই সপ্তাহও টিকবে না।’

ট্রাম্পের এই কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ওই অঞ্চলে ইরানের আধিপত্য ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রঘেঁষা এ আচরণ করছে সৌদি। গত বছর আন্তর্জাতিক সফর শুরুর আগে প্রথম দেশ হিসেবে সৌদি যান ট্রাম্প।

কিন্তু গ্লোবাল ভিলেজ ভিউজ ও খালিজ টাইমস ও আরব নিউজসহ বেশকিছু সংবাদমাধ্যম জানায়, ট্রাম্পের ওই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি সৌদি বাদশাহ। তাই মার্কিনিদের ওপর ভরসা কমাতে পূর্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি।

যেখানে নিজের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তান (সৌদির সীমানা পাহাড়া ও সেদেশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তানি সেনারা) ও বিনিয়োগ এবং ব্যবসার জন্য চীনের কাছাকাছি হতে চাইছে তারা। এর মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবেই তাদের সম্পর্ক ভালো।

চলমান আফগান শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসবে আফগানিস্তানের তালেবানরা। আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এ আলোচনা হবে। এ সময়ে তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ আরো কিছু পাকিস্তানি ও মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গেও আলোচনা করবে।

আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে এ বৈঠক হবে। তালেবানদের নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে এর পরের বৈঠক হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি কাতারে। আগেও সেখানে বৈঠক হয়েছে।

তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য পাকিস্তান সারা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশংসা পাকিস্তান পেয়েছে তালেবানের কাছ থেকেই।

ডন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কোনো দিন আফগান রাজনীতিতে তালেবান চূড়ান্ত কথা বলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তবে তারা পাকিস্তানকে ‘ভাই ও প্রতিবেশী’ হিসেবে গ্রহণ এবং অন্য দেশের মতো পাকিস্তানের সাথেও ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে ব্যাপকভিত্তিক’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইবে।

তালেবানরা আফগানিস্তানে ১৭ বছরের লড়াই অবসানে শান্তি আলোচনার উদ্দেশ্যে দুই দফায় তেহরানেও বৈঠক করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেয়ার পর থেকে প্রতিবেশি দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ইরান অনেক বেশি মনোযোগী হয়েছে।

সম্প্রতি ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডদের সাথে তালেবানের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে পাশ্চাত্য ও আফগান সূত্রগুলো দাবি করছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীকে বিদায় করতেই ইরান-তালেবান সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

ফলে তালেবানের ওপর ইরানের প্রভাব কেমন হবে এবং তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় গেলে ইরান-সৌদির ব্যাপারে তাদের অবস্থান কেমন হবে এই বৈঠকে সেটাও জানার চেষ্টা করবেন যুবরাজ। বিশেষ করে সেটা তালেবানের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করা পাকিস্তানকে সাক্ষী রেখেই।

যুবরাজ-তালেবান সাক্ষাতের পেছনে আছে ভারত প্রসঙ্গও। কয়েকদিন আগে ‘মানিকন্ট্রোল’ নিউজ জানায়, সালমান প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন। তবে তার আগে পাকিস্তানসহ আরো কয়েকটি সফর শেষ করবেন তিনি।

সেসময় হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, যুবরাজ ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান পৌঁছাবেন। এরপর সেখান থেকে মালয়েশিয়া যাবেন। পরে দেশে ফেরার পথে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করবেন।

প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্স মালয়েশিয়া সফরের পর ভারতে পা রেখে বুঝাতে চাচ্ছেন যে তার দেশ ভারতকে আলাদাভাবে বিবেচনা করছে না।

জ্বালানি থেকে ম্যানুফেকচারিং পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবের সহায়তা কামনা করে আসছে ভারত। অন্যদিকে সৌদি আরব তার কিদ্দিয়া বিনোদন সিটিতে ভারতীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে। এই বিনোদন কেন্দ্রে থিম পার্ক ও রেস ট্রাকসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।

তাছাড়া ভারতের শীর্ষ তেল রফতানিকারক সৌদি আরব। ইরান ও ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সৌদি আরব ভারতের তেল বাজারের বড় অংশ দখল করতে চাচ্ছে। ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার সৌদি আরব।

দি স্ট্র্যাইটস টাইমসে সাংবাদিক নির্মলা গানাপাথি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান তালেবানের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা ভারতের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে ভারতীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তালেবান আফগান সরকারকেও আলোচনা থেকে সরিয়ে রেখেছে। অথচ বর্তমান ও সাবেক আফগান সরকারের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল ভারত।

যুবরাজের এই সফরকে পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে সবচেয়ে বড় সফরের তকমা দিলেও ভারত শাসিত কাশ্মীরে সম্প্রতি দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর উপর জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

নয়াদিল্লির অভিযোগ, পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের সরাসরি হাত রয়েছে। যে জঙ্গি সংগঠন জইশে-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে, তারা পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন। এ হামলার পরিকল্পনা হয়েছে পাকিস্তানে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।

ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, মার্কিনিদের সঙ্গে আফগান তালেবানের সাম্প্রতিক যুদ্ধাবসান আলোচনার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই পুলওয়ামায় হামলা চালানো হয়।

দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম এএনআইয়ের দাবি, এই হামলার পুরো ছক কষেছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে যুদ্ধ করা এক অভিজ্ঞ তালেবান যোদ্ধা।

এই অবস্থায় ভারতে পা রাখার আগে সৌদি যুবরাজ তালেবানদের কাছ থেকে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের জন্য ইতিবাচক কোনো বার্তা নিয়ে যেতে পারেননি কিনা – সেই চেষ্টাও হয়তো করবেন।