পাকিস্তান সংসদে বাজেদ অধিবেশনে ধস্তাধস্তি : অস্বস্তিতে ইমরান

পাকিস্তানে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। বাজেট অধিবেশন চলাকালে দেশটির জাতীয় সংসদে তুমুল হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করে সংসদেই স্লোগান দিয়েছে বিরোধী সংসদ সদস্যরা।

ডন ও জিয়ো নিউজের খবরে বলা হয় মঙ্গলবার রাজস্ব ও অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হাম্মাদ আযহারের বাজেট বক্তৃতার মাঝখানে বিরোধী সংসদ সদস্যরা উঠে ঘোষিত বাজেটের প্রতিবাদ জানান।

বাজেট বক্তৃতার মধ্যভাগে বিরোধী সংসদ সদস্যরা স্পিকারের ডায়াসের সামনে আসনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুদ্ধ সংসদ সদস্যরা এ সময় স্পিকারের সামনে বাজেটের কাগজপত্র ছুঁড়ে মারেন।

বিরোধী নেতাদের নিবৃত করতে সরকারী দলের সদস্যরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সংসদ সদস্য মুর্তাজা জাবেদ আব্বাস এবং তেহরিকে ইনসাফের শাহেদ খটকের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ‘গো ইমরান গো’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সংসদ। ‘গো নিয়াজি গো’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বিরোধীদের।

উত্তেজিত বিরোধী সংসদ সদস্যরা একসময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দিকেও তেড়ে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও হট্টগোলের মধ্য দিয়েই বাজেট বক্তৃতা পেশ করেন রাজস্ব ও অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হাম্মাদ আযহার।

এর আগে সোমবারও সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারির গ্রেফতারের ঘটনায় পাকিস্তানের সংসদে তুমুল হট্টগোল হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আগে থেকেই কারাগারে আটক রয়েছেন। সোমবার সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেফতারের পরই মঙ্গলবার মুসলিম লীগের (নওয়াজ) শীর্ষ নেতা হামযাহ শরীফকে আটক করা হয়।

শীর্ষ বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের পরও দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়ায় বিষয়টিকে ইমরান খান আল্লাহর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তবে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে ইমরানের কড়া সমালোচনা করছেন দেশটির বিরোধী নেতারা। ইমরান খানকে অযোগ্য ও ভাড়াটিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। এমনকি মঙ্গলবারের ঘোষিত বাজেটও প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের সব বিরোধী দল।