পাক-ভারত ম্যাচের স্টেডিয়ামে আসন ২৫ হাজার, আবেদন ৪ লাখ

আসছে ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০১৯। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি মূলত ১৬ জুনের ম্যাচে। ওই দিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হওয়ার কথা বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বিশ্বকাপে ২২ গজের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কিন্তু সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় তথাকথিত পাক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪৯ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ায় সেই ময়দানি লড়াই হওয়া নিয়ে শঙ্কা দানা বেঁধেছে।

ভারতের সাবেক, বর্তমান ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের দাবি, আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করুক ভারত। অনেকে আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করতে আইসিসির ওপর চাপ তৈরি করুক বিসিসিআই। এদিকে ভারত সরকারের অনুমোদন না পেলে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ইন্দো-পাক যুদ্ধ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড।

তবে বিশ্বকাপে রাজনৈতিক চিরবৈরী দুদলের মধ্যে ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইসিসির ভাষ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছেই। না হওয়ার কোনো কারণ দেখছি। পুলওয়ামা কাণ্ড আমাদের মর্মাহত করেছে। পিসিবি-বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি আমরা।

বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর স্টিভ অ্যালওয়ার্থি বলেন, বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট।

বিশ্বকাপের ১০০ দিন ক্ষণগণনা উপলক্ষে লন্ডনে হাজির ছিলেন তিনি। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার। স্টিভ অ্যালওয়ার্থি বলেন, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। অথচ টিকিটের জন্য আবেদন জমা পড়েছে চার লাখ। সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, ঐতিহাসিক ম্যাচটি নিয়ে কোন পর্যায়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে।

টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ইঙ্গিত দেন, শিরোপা নির্ধারণী অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফাইনালি লড়াই হলে সংখ্যাটা আকাশ ছুঁবে।

বিশ্বকাপের আরেকটি আগুনে লড়াই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। তিনি জুড়ে দেন, সংখ্যার বিচারে চিরশত্রু এই দুদলের ম্যাচের টিকিটের জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ফাইনালের জন্য আবেদন করেছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ক্রিকেটপ্রেমী।