পাগলা মসজিদের বাক্স চুরি, ফেলে যাওয়া বস্তায় ৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জে মসজিদের মালখানার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে এক মুখোশধারী চোর। সেখানে রাখা সিন্দুকের দুটি তালা ভেঙে টাকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু নৈশপ্রহরীরা দেখে ফেলায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নৈশপ্রহরীরা ধাওয়া দিলে মুখোশধারী একজনকে আঘাত করে বস্তাভর্তি টাকা নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়।

শনিবার গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। নদী থেকে উদ্ধার করা বস্তায় ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোহাম্মদ সাঈদ জানান, রাত আড়াইটার দিকে মুখোশধারী এক চোর কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের একটি সিন্দুকের দুটি তালা ভেঙে সিন্দুকে জমা পড়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার একটি বড় ব্যাগে ভর্তি করে পালিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় দুজন নৈশপ্রহরী দেখে ফেলে চোরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে চোর একজন প্রহরীকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে জখম করে।

তার চিৎকার শুনে আরেকজন নৈশপ্রহরী এগিয়ে এসে চোরকে ধাওয়া করলে চোর টাকার ব্যাগ, লোহার শিক, কার্টার এগুলো নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়।

রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া টাকা গণনা করে সেখানে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে স্বার্ণালঙ্কার। এসব রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ সিন্দুকের তালা ভাঙার কাজে ব্যবহার করা সরঞ্জামাদি জব্দ করে এবং ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

সিসি টিভির ফুটেজে চোরকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবুশামা মো. ইকবাল হায়াত।

জানা যায়, ওই মসজিদের চারটি সিন্দুক রয়েছে। হিন্দু-মুসলিম ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে ধর্মভীরু লোকজন মনস্কামনা পূরণে এসব সিন্দুকে নগদ টাকা এমনকি স্বর্ণ ও রৌপ্যালঙ্কার দান করে থাকেন। প্রতি তিন মাস পরপর সিন্দুক খোলা হয়। গত ৩১ মার্চ সর্বশেষ পাগলা মসজিদের সিন্দুক খুলে ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এর এক মাস আগে তিন মাস অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসে এসব সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ অলঙ্কার।