পানির ওপরে উঠে আসছে পদ্মা সেতু

শিগগিরই পানির ওপরে উঠে আসছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দীর্ঘদিন ধরে সবার দৃষ্টির আড়ালে নদীর তলদেশে পদ্মা সেতুর পিলার নির্মাণের কাজ চললেও আগামী ঈদের পরে পানির ওপরে জেগে উঠবে মূল কাঠামোর কিছু অংশ। আর এর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের পদ্মা সেতুর বাস্তব অবস্থা দৃশ্যমান হবে দেশবাসীর সামনে।

সরেজমিনে পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী ও নদীর দুই পাড় জুড়ে চলছে সুবিশাল নির্মাণযজ্ঞ। মূল পদ্মা সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার হলেও শরীয়তপুর ও মাদারীপুর অংশের সংযোগ সড়কসহ নির্মাণ কাজের ছাপ রয়েছে ১৭ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে। শরীয়তপুর ও মাদারীপুর অংশের সাড়ে ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ইতোমধ্যে তা যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মূক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পদ্মা নদীর বুক জুড়ে ভাসছে অসংখ্য ক্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে নদীর তলদেশে পাইলিং ও পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। সেতু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার শ্রমিক তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পদ্মা সেতু নির্মাণে।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর মূল পিলার ৪২ টি। এর মধ্যে ৪০ টি নদীর মধ্যে ও ২ টি ডাঙ্গায়। এর বাইরে সংযোগ সেতুর জন্য আরও ২৪ টি পিলার নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি পিলার নির্মাণের স্থান নম্বর দিয়ে চিহিৃত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টের ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে ক্যাপ বসানো হয়েছে। আরও ৪ টি পিলারে ক্যাপ বসানোর কাজ চলছে। এসব পিলার জাজিরা অংশে অবস্থিত। ঈদের পরে এই পিলারের ওপরে প্রতিটি তিন হাজার টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ ইস্পাতের স্প্যান বসানো হবে। আর এর মধ্য দিয়েই পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো পানির ওপরে দৃশ্যমান হবে। এসব ভারী স্প্যান বর্তমানে মাওয়ায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রয়েছে। এগুলো জাজিরায় পিলারের কাছে নেওয়ার জন্য চার হাজার টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ক্রেন আনা হয়েছে।