পান্তের ঝড়ে উড়ে গেল হায়দরাবাদ

জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত নয়, তবে হারলে ছিটকে পড়তে হবে টুর্নামেন্ট থেকে- এমন সমীকরণ মাথায় রেখেই খেলতে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিট্যালস। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত।

তরুণ এ বাঁহাতি ঝড়ো ব্যাটে এলিমিনেটর ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়েই কোয়ালিফায়ার-২ এর টিকিট নিশ্চিত করেছে দিল্লি। আগামী শনিবার (১০ মে) চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে তারা।

বুধবার রাতে আগে ব্যাট করে ১৬২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রশিদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এ সংগ্রহই বেশ বড় হয়ে দেখা দেয় দিল্লির সামনে। কিন্তু রিশাভ পান্ত ২১ বলে ৪৯ রান ঝড় তুলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন দিল্লিকে। ২ উইকেট এবং ১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৬ রান যোগ করেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বি শ। যেখানে ধাওয়ানের অবদান কেবল ১৬ বলে ১৭ রান। অপরপ্রান্তে তরুণ পৃথ্বি খেলেন ৬ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস।

এমন উড়ন্ত সূচনার পরেও শ্রেয়াস আইয়ার ৮, কলিন মুনরো ১৪ এবং অক্ষর প্যাটেল ০ রানে আউট হলে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। ষষ্ঠ উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ডের সঙ্গে মাত্র ২১ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন পান্ত। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৯ রান।

বাসিল থাম্পির করা ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলে যথাক্রমে ৪,৬, ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে ম্যাচের সমীকরণ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন পান্ত। তবে ১৯তম ওভারে তিনি সাজঘরে ফিরে যান ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে ২১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে। শেষে কেমো পলের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত হয় দিল্লির।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ৯ বলে ৮ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তবে মার্টিন গাপটিল আর মানিশ পান্ডে মিলে হায়দরাবাদকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। গাপটিল ১৯ বলে ৩৬ এবং মানিশ পান্ডে ৩৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন।

কেন উইলিয়ামসন ২৭ বলে ২৮, বিজয় শঙ্কর ১১ বলে ২৫, মোহাম্মদ নবি ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন। পরের ব্যাটসম্যানরা তো আরও ব্যার্থ। ইউসুফ পাঠানের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া দীপক হুদা ৪ বলে করেন ৪ রান।

রশিদ খান আউট হন কোনো রান না করেই। ভুবনেশ্বর কুমার অপরাজিত থাকেন শূন্য রানে। বাসিল থাম্পি করেন ১ রান। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ। কিমো পল ৩টি, ইশান্ত শর্মা ২টি, ট্রেন্ট বোল্ট এবং অমিত মিশ্র নেন ১টি করে উইকেট।