পার্লামেন্টে পৌঁছাতে দেরি, প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ!

নির্ধারিত সময়ে পার্লামেন্টে পৌঁছাতে পারেননি। দেরি হয়ে গেছে কিছুটা। এ জন্য পার্লামেন্টে প্রবেশ করেই বিলম্বের দায় নিয়ে তাৎক্ষণিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মাইকেল ওয়ালটন বেইটস। সঙ্গে সঙ্গে আসন ছেড়ে বেরিয়েও পড়েন তিনি। পরে অবশ্য তিনি তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র এক মুখপাত্র।

গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ‘হাউস অব লর্ডস’ এ এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ‘আয় বৈষম্য’ নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সময় নির্ধারিত ছিল আধা ঘণ্টা। সরকারের পক্ষে জবাব দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন হাউস অব লর্ডসের কনজারভেটিভ দলীয় সদস্য এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মাইকেল ওয়ালটন বেইটস। তাঁর উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। যে কারণে কনজারভেটিভ দলীয় সামনের সারির অন্য একজন সদস্য সরকারের পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন।

আধ ঘণ্টা বিতর্কের শেষ ভাগে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী বেইটস। তিনি বিলম্বের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এই বিলম্বকে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, একজন মন্ত্রীর দায়িত্বের কাঙ্ক্ষিত মান রক্ষায় তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

এরপর তিনি পার্লামেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। বিরোধী দলীয় সদস্যরাও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি থামলেন না। পরে সরকার দলীয় হুইপ বিতর্কে প্রশ্নের জবাব দেন। সহকর্মীরা বলছেন, সামান্য বিলম্বের জন্য ক্ষমা চাওয়াটাই যথেষ্ট ছিল।

মাইকেল ওয়ালটন বেইটস ২০০৮ সাল থেকে হাউস অব লর্ডসের সদস্য। ২০১৬ সাল থেকে তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বেইটসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। প্রধানমন্ত্রী একজন মুখপাত্র বলেন, কয়েক মিনিট বিলম্বের জন্য পদত্যাগ করাটা অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু বেইটস একজন নিষ্ঠাবান রাজনীতিক হিসেবে সেটি করেছেন। বেইটস তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলেও জানান ওই মুখপাত্র।