‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে’

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়র হোসেন মঞ্জু জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ও জোরাল ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে নিয়মিত মামলা ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।

ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, জলাভূমি ভরাট করার অপরাধে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প বর্জ্য হতে দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে তরল বর্জ্য নির্গমনকারী সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ‘জিরো টলারেন্স’ পলিসি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯১টি প্রতিষ্ঠান হতে পরিবেশ দূষণের জন্য ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য এবং তার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এই সময়ে এক হাজার ৫৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপিত হয়েছে।

সরকারী দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিল্প দূষণ থেকে সৃষ্ট পানি যাতে দূষিত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রিয় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনপূর্বক ১০০টি ইকোনোমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বুড়ীগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে নদীগুলোর ব্যবস্থাপণার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আর হাজারীবাগ ট্যানারী শিল্প স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফাণ্ড হতে সারা দেশে বনায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ১৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।