পুরনো আংটি উপহার দিয়ে প্রেমিকার হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে প্রেমিক

প্রেমিকের কাছ থেকে কোন প্রেমিকা যদি গিফট হিসেবে এনগেজমেন্ট রিং পায়, তাহলে কি প্রেমিকা খুশি না হয়ে পারেন? কিন্তু এক প্রেমিকা ঘটালেন উল্টো কাণ্ড।

প্রেমিকের কাছ থেকে গিফট পেয়ে উল্টো রেগে-মেগে আগুন। আর তাই রাগ সামলাতে না পেরে ফাটিয়ে দিলেন প্রেমিকের মাথাটাই! ভাবুন এবার কি কাণ্ড! ব্যাপারটা তাহলে একটু খুলেই বলা যাক।

এক প্রেমিক তার প্রেমটাকে পাকাপোক্ত করতে প্রেমিকাকে এনগেজমেন্ট রিং দিয়েছিলেন। আর এই রিং দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন প্রেমিকা। আর অমনিই মেরে মাথা ফাটিয়েই দিলেন প্রেমিকের। চলল আরও চড়-থাপ্পড় ঘুষি।

ফ্লোরিডার বেংট নিকুইস্ট ভাবতেও পারেননি ভালবেসে এনগেজমেন্ট রিং উপহার দিয়ে প্রেমিকার হাতে উত্তম-মধ্যম খেতে হবে। কারণ?

প্রেমিকা ইনগা দফতারতিয়েনে বেশ ভাল মনেই নিয়েছিলেন আংটিটা। তার পর কী মনে হল, প্রেমিকের বাড়িতেই তার পুরনো ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে শুরু করেন।

সেখানেই তার চোখে পড়ে যায় প্রেমিকের প্রাক্তন প্রেমিকার ছবি। ব্যস্, তার পরেই নাকি তিনি প্রেমিকের ঘরে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন।

ইনগা-র বক্তব্য ছিল, বেংট তাকে ঠকিয়েছেন। ইনগা-কে দেওয়া এনগেজমেন্ট রিংটি আসলে নাকি বেংট-এর প্রাক্তন প্রেমিকার। সেই আংটিই আবার ইনগা-কে উপহার দিয়েছেন বেংট।

বেংট যথারীতি অস্বীকার করেন। কিন্তু ইনগা শোনার পাত্রী নন। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, পুরনো একটি ফোটোগ্রাফে তিনি রেংটের প্রাক্তন প্রেমিকাকে ওই একই আংটি পরতে দেখেছেন। এই বলে, হাতের কাছে একটি ভারী ধাতব বস্তু ছুড়ে মারেন রেংট-এর দিকে। গুরুতরভাবে আহত হন রেংট।

সেখানেই থেমে থাকেননি ইনগা। আহত রেংট পুলিশ ডাকতে গেলে সজোরে তাকে ঘুষি মেরে প্রায় শুইয়ে দেন বলা যায়। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে ইনগাকে এবং মামলার শুনানির আগে পর্যন্ত দু’জনের দেখাসাক্ষাৎ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।