পুলিশকে পেটাল ছাত্রলীগ, ওসি বললেন বিএনপি হইলে ব্যবস্থা নিতাম!

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও দুই কনস্টেবলকে পেটানো ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করেও ছেড়ে দিয়েছেন থানার ওসি আক্তার হোসেন।

উপজেলার গোপালদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই হামলা চালালেও ওসি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুরো ঘটনাই ঘটেছে নজরুল ইসলাম বাবু কলেজে। সেখানে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল।

জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে মাদকসেবন ও ইভটিজিংয়ের অপরাধে উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের জামালউদ্দিনের ছেলে দিদার ইসলামকে গোপালদী বাজার থেকে আটক করে পুলিশ। তার আটকের খবর জানতে পেরে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা আটককৃত দিদারকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্তকেন্দ্রে যান। পুলিশ তাকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ সময় এটিএসআই মামুন তার প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতা সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। সুজয় মোবাইলে তার সহযোগীদের তদন্তকেন্দ্রে এনে পুলিশের ওপর হামলা চালাতে থাকেন। একপর্যায়ে কনস্টেবল ইমরান ও বাশার এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

এ খবর আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানতে পেরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন এবং পরে ছেড়ে দেন।

হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের নিজেদের লোক দাবি করে ওসি বলেন, ‘কালকে এমপি সাব আমেরিকা গেছে। সব নিজেরা নিজেরা। বিএনপি হইতো একটা কথা আছিলো, ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’

এদিকে পুলিশ সদস্যরা বেদম মারধরের শিকার হলেও হামলাকারীদের ছেড়ে দেয়ায় পুরো পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।