পুলিশের ইফতার বর্জন করলেন শতাধিক সাংবাদিক

কর্তব্যরত অবস্থায় ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক আদিত্য আরাফাতকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃক আয়োজিত ইফতার পার্টি বর্জন করেছেন সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় বিআরটিসি ও ৬ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাসের রেষারেষিতে মো. নুরুল আমিন (৬০) নামে এক পথচারীর পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে যায়। ওই সময় সেখানে দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফ ডিবিসির সাংবাদিক আদিত্য আরাফাতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি আদিত্যকে ধাক্কা দেন এবং ক্যামেরায় পানি ঢেলে দেন।

এসি আশরাফ কর্তৃক সহকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ইফতার পার্টি বর্জনের ঘোষণা দেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদকরা।

শুক্রবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আমন্ত্রণ পাওয়া প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমের প্রায় শতাধিক সাংবাদিককে ওই ইফতার পার্টি বর্জন করতে দেখা যায়।

তারা জানান, ধারাবাহিকভাবে পুলিশের হাতে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এছাড়া শনিবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে এক বোতল পানি নিয়ে মানববন্ধনও পালন করা হবে।

সাংবাদিকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে পুলিশের দুর্ব্যবহারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। ডিএমপি কমিশনার দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। আমরা এসব ঘটনার উদ্বেগ জানাই।

সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার স্বার্থে সাংবাদিকদের এ অবস্থান বলেও জানান তারা।

এর আগে ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। মানববন্ধন শেষে ডিএমপি কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

ওইদিন দুপুরে নয়াপল্টন এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা টিভির সাংবাদিক আরমান কায়সার ও ক্যামেরাপারসন মানিকের ওপর চড়াও হন মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন।