‘পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দিতে আসেনি’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান আদালতের কাছে নিরাপত্তা চাইলে আদালত থানার ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ডাকেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দিতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা চাওয়ার পরও তাঁকে সহযোগিতা করা হয় নি।’

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

রোববার বিকেলে কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা হয়। তাঁকে বহনকারী গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ওই হামলায় তিনি আহত হন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান হামলার কথা বুঝতে পেরে কোর্টে অবস্থান নেন। পরে কোর্টের ওসির কথায় তিনি আদালত থেকে বের হয়ে আসেন। বলতে গেলে কোর্টের ওসি জোর করে মাহমুদুর রহমানকে বের করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হামলার পর মাহমুদুর রহমান সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগও পাননি। কিন্তু সরকারের উচিৎ ছিলে তাঁকে পুলিশের সহযোগিতায় চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা আসার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। বরং হামলার জন্য হামলাকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান আদালতে যাওয়ার পর অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদালত এলাকা ঘিরে রাখে ছাত্রলীগ। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় যুবলীগ। মাহমুদুর রহমান কোর্টের ওসির কথায় আদালত থেকে বের হওয়ার পর চার দিক থেকে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার মাথা ও গালে আঘাত লাগে, তিনি রক্তাক্ত হন।’

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। এ হামলার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলে দেশের প্রতিটি সেক্টর সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়েছে, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান এখন আর জনগণের কাজে আসছে না।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে শুধু মাহমুদুর রহমান নয়, কোনো নাগরিক আদালত বা কোথাও নিরাপদ থাকবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।