পুষ্টিগুণে ভরপুর আপেলেই লুকিয়ে আছে মৃত্যুর ‘বীজ’!

কথায় আছে, ‘প্রতিদিন একটি আপেল খান, ডাক্তারের প্রয়োজন দূরে সরান। ‘ অতি উপকারী এই ফল রোগ প্রতিরোধক ও পুষ্টিকর।

আপেল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে পুষ্টিগুণে আপেল খাবারের মধ্যে বেশ উচ্চস্থানে থাকলেও এর বীজে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিষ। এই কারণে আপেলের কাণ্ড এবং বীজ ফেলে খাওয়ারই নিয়ম।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, আপেলের বীজে থাকে ‘অ্যামিগাডলিন’, যা আমাদের শরীরের হজমে সহায়ক উৎসেচকের সংস্পর্শে এসে সায়ানাইড উৎপন্ন করে। এই রাসায়নিক মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ রুখে দিতে পারে, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ৭০ কেজি ওজনের একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য ১-২ মিলিগ্রাম সায়ানাইডই প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে এ পরিমাণ সায়ানাইড পেতে একজনকে অন্তত আপেলের ২০০ বীজ বা ২০টি আপেলের কাণ্ড চিবিয়ে খেতে হবে।

মার্কিন আরেক সংস্থা এজেন্সি ফর টক্সিক সাবস্টেন্সেস অ্যান্ড ডিজিজ রেজিস্ট্রির তথ্য অনুযায়ী, এমনকি খুব সামান্য পরিমাণ সায়ানাইডও মারাত্মক হতে পারে। এটি আমাদের হার্ট ও মস্তিষ্ককে অচল করে দেয়।

এছাড়া সায়ানাইড শরীরে গেলে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। অল্প পরিমাণ পেটে গেলে মাথা ধরা, বমি, পেট ব্যথা, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেলের বীজ গিলে ফেললে খাদ্যনালি বা পেটের কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই নিরাপদ থাকতে বীজ পরিষ্কার করে ফেলে তবেই আপেল খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আর অসাবধানতাবশত আপেলের বীজ মুখে চলে গেলে বোঝা মাত্র মুখ থেকে ফেলে দেওয়াই উচিত। আপেল ছাড়াও এপ্রিকট, চেরি, প্লাম, পিচের মতো ফলের বীজে সায়ানাইড থাকে। এসব ফলের বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।