পূজায় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা উপলক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘এবার অন্যান্যবারের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তায় কাজ করছে পূজা কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররা।’

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টায় রাজধানীর বনানীতে দুর্গা পূজা উপলক্ষে মহালয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হওয়ায় এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আরও বেড়েছে। দুর্গা পূজায় শুধু রাজধানীর ২৩১টি মণ্ডপ নয় দেশের ৩ হাজার ৭৭টি পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পূজায় পুলিশ-র‌্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ১ লাখ ৬৮ হাজার আনসার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছেন।’

পূজা ঘিরে হামলার কোনো হুমকি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। প্রত্যেকটি মণ্ড সিসি ক্যামেরা দ্বারা বেষ্টিত। এ ধরনের কোনো আশঙ্কা করছি না। বলা যায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমা বিসর্জনের কাজ বিকেল ৩টায় শুরু করে আর রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ ঘোষ।
আজ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী আগমনের ডামাডোল। দেবী দুর্গা এবার নৌকায় করে মর্ত্যলোকে এসেছেন এবং ঘোড়ায় চড়ে কৈলাশ পর্বতে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৭ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী এবং ৩০ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই দুর্গা পূজা।