পেটের ব্যাক্টেরিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ওজন নিয়ন্ত্রণ!

ওজন নিয়ন্ত্রণের চিন্তায় যারা অস্থির তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে গবেষকদের একটি দল। তাদের গবেষণায় বলা হয়, পেটে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেই এ কাজটি সম্ভব।

গবেষণায় দেখা গেছে, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার একটি অংশ ঠিক করে দেয় যে আপনি কতটুকু ওজন হারাবেন। তবে এই পদ্ধতি সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে কাজ নাও করতে পারে বলেও সাবধান করা হয় ইনডিপেনডেন্টে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে।

গবেষকরা ৬২ জনকে বেছে নেন যাদের সবার কোমর যথেষ্ট স্ফীত। তাদের গাঢ় সবুজ সবজি, বেরি আর শস্য থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার খেতে বলা হয়। কিংবা মাংস, ডিম, লেটুস আর কফি খেতে বলা হয়। দ্বিতীয় তালিকায় কোনো শস্য খেতে প্রস্তুতকৃত খাবার রাখা হয়নি। দুই ধরনের খাবারে দুটি ভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আনাগোনা বাড়বে। একটি প্রিভোটেলা, অন্যটি ব্যাক্টেরোইডস। এই দুটি ব্যাক্টেরিয়া অংশগ্রহণকারীদের দুই দলের অন্ত্রে পাওয়া গেছে।

দুটি ভিন্ন খাদ্য তালিকায় ফাইবারের মাত্রায় ভিন্নতা ছিল। প্রথমটিতে ফাইবার অনেক বেশি। অংশগ্রহণকারীরা এসব খাবার টানা ২৬ সপ্তাহ ধরে খেয়েছেন। কোর্স শুরুর আগে ও পরে কোমরের মাপ টুকে রাখা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা এক বছর প্রথম খাদ্য তালিকাতেই ছিলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের পেটে অধিক পরিমাণ প্রিভোটেলা ব্যক্টেরিয়ার পরিমাণ বেশি ছিল তারা অন্য দলের তুলনায় বেশি হারে চর্বি হারাচ্ছেন। অর্থাৎ দ্বিতীয় খাদ্য তালিকায় অভ্যস্ত মানুষগুলোর ওজন হ্রাসের গতি অনেক কম।

দুই দলের মধ্যে যখন আবার খাবার পাল্টাপাল্টি করে দেওয়া হয়, তখন তাদের ওজনের তেমন পার্থক্য নজরে আসেনি। প্রধান গবেষক ম্যাডস জোর্থ জানান, প্রিভোটেলা বা ব্যাক্টেরোইডস এর পরিমাণের ওপর দেহের ওজন কমার বিষয়টি নির্ভর করে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণের ওপর এসব ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে-কমে। সবুজ সবজি, বেরি আর শস্য- এ ধরনের খাবারে ফাইবার বেশি। আর এই ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার প্রিভোটেলা ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এতে ওজন কমিয়ে আনা যায়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস