পেনাল্টি মিস করে কেঁদেছিলেন মেসি : সানচেজ

বিশ্বমানের ফুটবলারদের দামি বাড়ি, গাড়ি, প্রভাব-প্রতিপত্তি, চাকচিক্যময় জীবন দেখে আমরা অনেকেই চমকে উঠি। কিন্তু এ জন্য যে তাদের কত শ্রম, ত্যাগ-তিতীক্ষা ও কষ্ট করতে হয়েছে তা ভুলেও মনে আসে না। অনেক সময় আমরা ভুলে যাই, তারাও রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। কজনইবা জানি, পেনাল্টি মিস করে শিরোপা–স্বপ্ন ধূলিসাৎ হওয়ায় ড্রেসিংরুমে কেঁদেছিলেন লিওনেল মেসি!

সদ্য শেষ হওয়া দলবদলে আর্সেনাল ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছেন আলেক্সিস সানচেজ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অনেক রথী-মহারথীদের পেছনে ফেলে এখন তিনি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকধারী ফুটবলার। তবু মন ভরছে না চিলিয়ান এ ফরোয়ার্ডের। তার এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চারদিকে উঠেছে বিরূপ আলোচনার ঝড়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আফসোস করে সানচেজ বললেন, ‘ফুটবল বনেদি খেলা। এটি উপহার দিতে পারে চাকচিক্যময় জীবন। এটিই সবার নজরে পড়ে। তবে এ জন্য কতশত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তা থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। খেলাটির জন্য আমরা পরিবার থেকে দূরে থাকি। মায়ের জন্মদিনে পাশে থাকতে পারি না। ছেলের জন্মদিন পালন করতে হয় দূর-দিগন্ত থেকে।

এখানেই থেমে থাকেননি সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তারাও যে আর ৮-১০ জনের মতো মানুষ, তার ছবি তুলে ধরতে তিনি মেসির কান্নার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন- ‘স্বপ্ন ভেস্তে গেলে ফুটবলাররা কাঁদে। এটি চরম সত্য। ফুটবলের অংশও। আমি ড্রেসিংরুমে দেখেছি, ব্যর্থতায় মেসিকে অঝোরে কাঁদতে। প্রিয় খেলোয়াড়ের ওপর ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকে তুঙ্গে। তা আমরা বুঝি।’

২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে চেলসির কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় বার্সা। ফিরতি লেগে অন্তিম মুহূর্তে মেসির পেনাল্টি মিসের খেসারত হিসেবে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ক্লাবটিকে। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে ইংলিশ ক্লাবটি। আর ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পরে ড্রেসিংরুমে গিয়ে কাঁদেন খুদে জাদুকর। ওই সময় বার্সার খেলোয়াড় ছিলেন সানচেজ।