প্রতিবাদ-বিক্ষোভে গর্ভবতী ট্রাম্প!

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার স্থানীয় সময়ে দুপুরে প্রথমবারের মতো শীর্ষ বৈঠকে বসেন এ দুই প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে টুইটারে দেয়া এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোকামি এবং নির্বুদ্ধিতার কারণে বর্তমানে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার হেলসিংকিতে দুই রাষ্ট্রনেতা বহুল প্রতিক্ষীত বৈঠকে বসেন। শুরুতে করমর্দন করেন তারা; তবে তাদের এই করমর্দন স্থায়ী ছিল মাত্র তিন সেকেন্ড। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তিন সেকেন্ডের করমর্দনে দুই প্রেসিডেন্টকে চিন্তিত দেখায়। এমনকি তাদের মুখে হাসিও দেখা যায়নি।

পরে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন বিশ্বের প্রভাবশালী এ দুই প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাদের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। হোয়াইট হাউস বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি প্রত্যক্ষ বৈঠক চান; যেখানে অন্য কারো হস্তক্ষেপ অথবা কোনো তথ্য ফাঁস হবে না। এমনকি ওই বৈঠকের আলোচনাও রেকর্ড থাকবে না।

তবে সমালোচকরা ট্রাম্প-পুতিনের এই বৈঠককে বিশ্বাসঘাতকতার বৈঠক হিসেবে উল্লেখ করে টুইটারে ট্রিজনসামিট (#TreasonSummit) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন; যা ইতোমধ্যে টুইটারে ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

এদিকে, ফিনল্যান্ডে ঐতিহাসিক এ বৈঠকের আগে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন দেশটির স্যোসাল অ্যাক্টিভিস্টরা। এ সময় ট্রাম্পের মুখোশ ও ট্রাম্পবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান লেখা টি-শার্ট পরে বিক্ষোভ করেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আজকের দিনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক একটি বিষয় হচ্ছে, হেলসিংকিতে গর্ভবতী ট্রাম্প বিক্ষোভ করছেন।

বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তথাকথিত ‘গ্লোবাল গ্যাগ’ আইন; যা ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরুজ্জীবিত করেন। এই আইনে যেসব বেসরকারি সংস্থা সরকারি অর্থ সহায়তা নেয় তারা অন্যান্য দেশের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ন্যায় গর্ভপাত না ঘটানো অথবা সক্রিয়ভাবে গর্ভপাতের প্রচার করা থেকে বিরত থাকবে।

তবে এই নীতিমালা মার্কিন নারীদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব দেখা গেছে; যেখানে তহবিল এবং সুযোগ-সুবিধা ইতোমধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে।

সূত্র : বিবিসি।