প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশে নেই রুবেল-মিঠুন-অপু

সকাল সকাল প্র্যাকটিসে পায়ে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিং রুমে চলে গেলেন সাকিব আল হাসান। তারপর আর মাঠে ফেরেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এমনকি ম্যাচের আগের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি তিনি। তার হয়ে কথা বলেন কোচ স্টিভ রোডস।

কোচের কথা-বার্তারও আগে নেটেই বোঝা যাচ্ছিলো অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন, আরিফুল হক ও পেসার আবু হায়দার রনির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলা মোটামুটি নিশ্চিত।

খেলবেন? শুনে কেউ কেউ হয়ত অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন প্র্যাকটিস দেখে আবার খেলবেন- তা বোঝা যায় নকি? হ্যাঁ, যায়। খুব ভালই বোঝা যায়। যাদের বা যাকে খেলানো হবে, তাকে যদি একটু বিশেষভাবে প্র্যাকটিস করানো হয়, তখনই বুঝে নিতে হবে তার দলে থাকা নিশ্চিত। সে কারণেই এমন বাড়তি ও স্পেশাল প্র্যাকটিস করানো।

(রোববার) নেটে অলরাউন্ডার আরিফুল আর দুই পেসার সাইফউদ্দিন এবং আবু হায়দার রনিকে বেশ অনেক্ষণ ব্যাটিং করানো হলো। এর মধ্যে রনি ও সাইফউদ্দিনকে নেটে ব্যাটিংয়ের শেষ রাউন্ডে হাত খুলে খেলার অনুমতি দিলেন কোচ স্টিভ রোডস।

তরুণ রনি আর সাইফউদ্দিনও ইচ্ছেমত লং অফ, লং অন ও মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতেন ভুল করলেন না। তাদের ব্যাটের স্পর্শে বল মুড়ি-মুড়কির মত এদিক ওদিক উড়ে উড়ে যাচ্ছিলো।

সন্ধ্যা নাগাদ জানা গেল, মূলত বোলার হলেও আজকের নেটে সাইফউদ্দিন ও রনিকে বোলিংয়ের পর বিশেষ ব্যাটিং প্র্যাকটিস করানোর কারণ ছিল। তাদের শেষ মুহুর্তে ঝালাই করে নেয়া।

বিজয় দিবসে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শহীদ জুয়েল ও শহীদ মোস্তাক স্মৃতি প্রদর্শণী ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বিমানে সিলেটে পা রেখেই জাগো নিউজের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়ে দেন, ‘দল চূড়ান্ত। আমরা একাদশ সাজিয়ে ফেলেছি। দলে নেই রুবেল, নাজমুল অপু ও মিঠুন। আমরা দলে অলরাউন্ডার বেশি রাখার চেষ্টা করেছি। তাতে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অপশন বেশি থাকবে। প্রয়োজন মত কাজেও লাগানো যাবে। তাই তো সাকিব ও মিরাজের সাথে সাইফউদ্দিন আর আরিফুলকে রাখা।’

তার মানে ওয়ানডের মত উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-লিটনই। তারপর সৌম্য সরকার, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল। এদের সাথে অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তিন পেসার মোস্তাফিজ, রনি আর সাইফউদ্দিন।