প্রথম দিন নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেন যারা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৮৪ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সংক্ষুব্ধদের আপিল গ্রহণ করে কমিশন। তবে সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ আপিল করেননি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসব আপিল গ্রহণ করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ থাকবে। ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে কমিশন।

প্রথম দিন যারা আপিল করেছেন তারা হলেন- পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ এর শামসুল হুদা, বগুড়া-৭ এর খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ির আবুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ এর আবদুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ এর তমিজউদদীন, সাতক্ষীরা-২ এর মো. আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ মেজর (অব.) মো. আক্তারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ এর আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ এর মোকাররম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ এর আব্দুল মজিদ, মাদারীপুর-৩ এর আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ এর মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ এর লেফটেন্যান্ট (অব.) আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ এর খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ এর সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ এর ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ এর মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ এর মো. সুমন, দিনাজপুর-১ এর পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ এর জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ এর কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ এর এসএম খলিলুর রহমান, জয়পুরহাট-১ এর মো. ফজলুল রহমান, পাবনা-৩ এর হাসাদুল ইসলাম, ফেনী-১ এর মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ এর ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ এর আবু সাঈদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ এর মো রুবেল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ এর তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ এর এনামুল হক খান, মানিকগঞ্জ-২ এর আরিফুর রহমান খান, খুলনা-২ এর এসএম এরশাদুরজ্জামান, নটোর-১ এর নীরেন্দ্রনাথ শাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ এর আইনাল হক, ঢাকা-১ এর আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ এর আব্দুল মুহিত, গাজীপুর-২ এর মাহবুব আলম, বগুড়া-৬ এর একেএম মাহাবুবুর রহমান, রাঙ্গামাটির অমর কুমার দে, গাজীপুর-২ এর মো. জয়লান আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এর জেসমিন নূর বেবী, রংপুর-৪ এর মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এর এসএম শফিকুল আলম, বগুড়া-৪ এর মো. আশরাফুল হোসেন (হিরো আলম), হবিগঞ্জ-২ এর মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ এর জোবাইর আহম্মেদ, ঢাকা-১৪ এর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সাতক্ষীরা-১ এর মুজিবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৭ এর জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর আব্দুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ এর মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, শেরপুর-২ এর একেএম মোখলেছুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ এর মাওলানা মো. সোলাইমান খান, নাটোর-৪ এর আলাউদ্দিন মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ এর মো. আফজাল হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ এর ইউনুস আলী, বরিশাল-২ এর আনিসুজ্জামান, ঢাকা-৫ এর সেলিম ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-৩ এর কামরুজ্জামান, মৌলভীবাজার-২ এর মহিবুল কাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ এর কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ এর তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ এর ফয়েজুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ এর আহম্মেদ তাইবুর রহমান, চট্টগ্রাম-৫ এর মীর নাছির উদ্দিন, ঝিনাইদহ-৪ এর আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর সৈয়দ আহম্মদ লিটন, ফেনী-৩ এর হাসান আহম্মদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর আবু আসিফ আহম্মদ, ঢাকা-১৪ এর জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ এর হাবিবুল্লাহ বেলালী, পঞ্চগড়-২ এর ফরহাদ হোসেন আজাদ, জামালপুর-৪ এর মামুনুর রশিদ, মানিকগঞ্জ-৩ এর আতাউর রহমান আতা, ময়মনসিংহ-৮ এর এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ এর আবু বক্কর সিদ্দিক, বগুড়া-২ এর আবুল কাশেম, নেত্রকোণা-১ এর শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার, কুড়িগ্রাম-৩ এর আব্দুল খালেক ও কুড়িগ্রাম-৪ এর মাহাফুজা রহমান।

এক শতাংশ ভোটার না থাকায়, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকায়, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগে, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণেও এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার আপিল সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে সোমবার কোনো আপিল করা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আপিল করা হতে পারে।

২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ।